রোগী উত্তাপিত উপসর্গ গুলো যেভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
জ্বরের রোগী
আমরা সাধারনত যে সকল রোগী দেখী তার মধ্যে সব ছেয়ে বেশী সংখ্যায় যে রোগী থাকে সেগুলো হলো জ্বরের রোগী অর্থাৎ জ্বর্উপসর্গ সহ রোগী। জ্বরের রোগীগুলো নিচের যে কোন ভাবে নিজের উপসর্গ বা শারীরিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ করে থাকে।
v হঠাৎ করে শরীর ম্যাজ ম্যাজ বা কামড়িয়ে তীব্র জ্বর, দ্রুত ১০৩ থেকে ১০৫ পর্য্যন্ত।
v ভেতর ভেতর জ্বর, জ্বর ফেটে উঠে না.
v অল্প জ্বর, মুখ তিথা থাকে, (মুখে খাওয়ার রুচি থাকে না)
v জ্বর জ্বর ভাব, হঠাৎ রাত্রে শীত শীত লাগে,
v প্রতিদিন ভেতর ভেতর জ্বর, রাতে বা বিশ্রাম নিতে গেলে তীব্র শরীর মাংসপেশী এবং গীরা কামড়ায়।
v কিছুদিন যাবৎ অল্প অল্প জ্বর ছিলো, হঠাৎ করে বেশী জ্বর সাথে তীব্র মাথাব্যাথা।
v দিনের বেলায় ভালো থাকা যায়, তবে বেলা বাড়তে বাড়তে জ্বর দেখা দেয়।
v বিশেষ বিশেষ ঋৃতুতে ’’হঠাৎ করে উঠা বেশী জ্বরে’’র বেশী সংখ্যক কিছূ রোগী পাওয়া যায়।
v ১দিন বা ২ দিন বেশী জ্বর ছিলো পর থেকে বেশী ক্ষুধা মন্ধা এবং বমি বমি ভাব অথবা বমি।
v ১দিন তীব্র জ্বর থাকার পর ১-২ দিন জ্বর ছাড়া থাকার পর পূনরায় ১দিন তীব্র জ্বর।
v ৪-৫দিন তীব্র জ্বর থাকার পর ২০-২৩দিন দিন জ্বর ছাড়া থাকার পর পূনরায় ৪-৫দিন তীব্র জ্বর এভাবে উঠতে থাকা ।
জ্বর কি ও কেন?
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সাধারনত: ৯৮.৬০ ফারেনহাইট। বিশেষত মুখের ভেতর বা মলদ্বার পথে ন্যুনতম ১ মিনিট রেখে নির্ণীত শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক সীমা অতিক্রম করিলেই সাধারনতঃ জ্বর বলা যেতে পারে।
জ্বর শরীরের এক্টি নিদ্দিষ্ট প্রতিউত্তর যাতে বুঝ্তে হয় যে, পুরো শরীরে বা এর কোন অংশে প্রদাহ হচেছ। আর এই প্রদাহ অনেক কারনে হয়ে থাকে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাধারনতঃ ’’জীবানু-সংক্রমন-জনিত’’ কারনে হয়। শরীরের কোন অংশে জীবানুর অনুপ্রবেশ এবং যুগপৎ বংশবৃদ্ধি জনিত কারনে শরীরের যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকেই সংক্রমন (Infection) বলে। অন্যান্য অনেক কারন (যেমন অটোইম্যূন রোগ,আঘাৎ, ক্যান্সার ইত্যাদি) ছাড়াও এই সংক্রমন (Infection) ও শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি করে। আর এই প্রদাহের ফলে শরীরে অন্যান্য উপসর্গ ছাড়া ও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর এই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া অবস্থাকেই আমরা ‘‘জ্ববর‘‘ বলি।
শরীরে সংক্রমনকারী জীবানু সাধারনত ৪ প্রকারের হয়ে থাকে
১. ভাইরাস
উদাহরন: ইনফ্লুয়েন্জা, হাম, ডেঙ্গু, মাম্স, শিশুর ডায়রিয়া, এনসেপালাইটিস ইত্যাদি
২. ব্যাক্টেরিয়া
উদাহরন: টায়ফয়েড, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়া, ফোড়া ইত্যাদি
৩. প্যারাসাইট বা পরজীবি
উদাহরন: ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর, এমিবিয়াসিস, জিয়ার্ডিয়াসি ইত্যাদি
৪. ফাঙ্গাস বা ছত্রাক
উদাহরন: চামড়ায় রিংওয়ারম (দাউদ), যৌনাংগের ক্যান্ডিডিয়াসিস এবং মনিলিয়াসিস (বেশরিভাগ মহিলাদের সাদা স্রাবের কারন)
No comments:
Post a Comment