ডায়রিয়া কি?
***** সাধারন ভাবে ঘন ঘন তরল পায়খানা হওয়া।
***** ২৪ ঘন্টায় ৩ বার বা ততোদিক তরল বা জলীয় মল সহ পায়খানা হওয়া।
ডায়রিয়া কেন?
কিছু বিরল উদাহরন বাদ দিলে;
সাধারনতঃ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে খাদ্য চলাচল ও পরিপাক নালীর আন্ত্রিক অংশে
জীবানু সংক্রমনের কারনেই ডায়রিয়া
হয়।
এই জীবানু সাধারনতঃ চার প্রকারের
যেমন:-
১. ভাইরাস ( সকল সকল শিশু-ডায়রিয়ার দুই তৃতীয়াংশের বেশী)
উদাহরন:: রোটা
ভাইরাস, এডেনো ভাইরাস, এই আইভি ভাইরাস ইত্যাদি
২. ব্যাক্টেরিয়া
উদাহরন::
সালমোনেলা্, ই কোলাই, ভিভ্রিও, কম্পাইলোভেকট্টর, সিগেলা ইত্যাদি
৩. পরজীবি
(প্যারাসাইট)
উদাহরন::
এমিবিয়া, জিয়ারডিয়া, ক্রিমি ইত্যাদি
৪. ছত্রাক (ফান্গাস)
উদাহরন::
ক্যানডিডিয়াসিস
ডায়রিয়াতে কোথায়, কেন, এবং কি হয়????
এর মধ্যে যে কোন এক প্রকারের জীবানুর
++ খাদ্যের সাথে বা পানীয়ের সাথে ঢুকে মুখ হয়ে পাকস্থলি পার হয়ে
ক্ষুদ্রান্ত্রে
প্রবেশ করে,
++ সেখানে অর্থাাৎ শরীরের
খাদ্যপরিপাক নালী (মুখ হতে মলদ্বার পর্য্যন্ত) আন্ত্রিক অংশের (ক্ষুদ্র অন্ত্র এবং
বৃহদান্ত্র) অভ্যন্তরে জীবানুর বংশবৃদ্ধি
হয় এবং খাদ্যনালীর উক্ত অংশের আভ্যন্তরিন দেয়ালের কোষগুলোদে এই সংক্রমন জনিত
বংশবৃদ্ধির কারনে আন্ত্রিক
গাত্রে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ++ এই
প্রদাহের কারনে জীবানু হতে বিষরস নিসুত হয় এবং
++ খাদ্য নালীর খাদ্য শোষক
জালিকা আবরন (ব্রাশ বর্ডার) ক্ষ পায় এবং
++ খাদনালীর "শোষক-জালিকা ঝিলিব" আবরনিতে ঘা সৃষ্টি হয়।
এবং তাতে
১. খাদ্য শোষক ঝিলবী আবরনির খাদ্য শোষন
ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাতে খাদু পরিপাক ও খাদ্য অত্মিকরন কমে যায়, এই
অশোষিত খাদ্য ডায়রিয়ার সাথে পানি হয়ে বের হয়ে আসে।
২. শোষক ঝিল্লি আবরনির এই পরিবর্তিত অবস্থার কারনে শরীরে স্খিত
ভেতরের পানি খাদ্য পরিপাক নালীর অভ্যন্তরে প্রসলবন হয় যা পায়খানার সাথে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে তরল মল ( ডায়রিয়া)
আকারে।
৩. খাদ্যনালীর ঘা হতে রক্ত ও ঝিলবী রস নিক্তৃ হয় যা পায়খানার সাথে
শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
৪. প্রদাহ জনিত কারনে জ্বর ও আসে, আবার খিচুনি ও হতে পারে ( যখন
দ্রুত বা ত্বারৎ বেশী জ্বর আসে তখন খীচুনী হয়)
ডায়রিয়া কিভাবে ক্ষতি করে
১. তাৎক্ষনিক ক্ষতি:- সুতরাং উপরের আলোচনা হতে ইহা পরিষ্কার যে
ক. শরীরের জন্য গৃহীত পানি
শোষিত না হওয়ার কারনে
খ. শরীরের জমাকৃত পানির
খাদ্যনালীর অভ্যন্তরে প্রসলবিত হয়ে যাওয়ার কারনে শরীরের পানি অংশের কম্তি সৃষ্টি
হয়। এই শরীরের পানি কমতি এমন এক পর্য্যায়ে পোঁচ্তে পারে যখন কিডনী (প্রসলাব তৈরীর যন্ত্র) তে রক্ত
সরবরাহ কমে আসে। . . . ফলে কিডনি প্রসলাব
তৈরী কর্তে পারে না। . . . পানি স্বল্পতাহেতু এই রক্তকমতির কারনে কিডনী কার্য্য
ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এবং তাতে
আক্রান্ত রোগী মৃত্যু মুখে পতিত হয়।
গ. শরীরের রেচন প্রক্রিয়ায় যথা্যতভাবে
গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয় না বলে রক্তে অম্ল্যাধিক্য বা এসিডোসিস (অপরফড়ংরং) দেখা দেয় ( যে কারনে ডায়রিয়া রোগীর
পানি কমতি যথাযতভাবে পরিপূরন না হলে রোগীর বমি বেড়ে যায় এবং দ্রুত ও গভীর শ্বাস হয়
(অপরফড়ংরং এর লক্ষন)।
২. পরবর্তি ক্ষতি
ক. ডায়রিয়া চলাকালিন প্রয়োজনীয় আহার পরিপাক ও
শোষন কমতি ও
খ. ডায়রিয়া পরবর্তিতে শোষকঝিলিবর শোষন ক্ষমতার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে শরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় খাদ্যাংশ শোষিত হয়ে শরীরের কোষ কলায় ব্যবহৃত হতে পারে না, ফলে শরীরের
মারাতল্পক অপুষ্টির সমস্যা দেখা দেয়; যার ফলে শরীরের ওজন হ্রাস
ও পূনঃপৌনিক জীবানু সংক্রমনের সম্ভাবনা বা ঝুকি সৃুণ্ট হয়।
------এগুলো ছাড়াও ডায়রিয়া
চলাকালিন চিকিৎসা বিভ্রাট-এর কারনে (অসতর্ক এবং অনিয়ন্ত্রিত অন্তঃশীরা (ও/ঠ) পানি প্রদান ও অপ্রয়োজনীড ও ক্ষতিকর
ঔষধ সেবন) শারীরিক ক্ষতি ও ফুসফুসে পানি জমে মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায়।
ডায়রিয়া
রগেীর চিকিৎসা তথা ব্যবস্থাপনা
উপরের অলোচনা হতে ইহা
পরিষ্কার যে, ডায়রিয়া রোগীর ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্যগুলো হবে . .
Ø ১ রোগীর শরীরের পানি কম্তি
নির্নয় ও ঠিক করা বা পরিপুরন করা
Ø ২. পরবর্তিতে পানি কম্তি
নিরোধ করা বা না হওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
Ø ৩. বর্তমান ও ভবিষ্যেতের
পুষ্টি সংরক্ষন করা
Ø ৪. জীবানু সংক্রমন জনিত
প্রদাহ নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জীবানু নাশক বা এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা,
Ø ৫. অন্যান্য উপসর্গ যেমন
জ্বর, শরীর ব্যাথা বা বমির চিকিৎসা দেয়া
যেহেতু শরীরের পানিকম্তি নির্নয় ও ঠিককরন পরবর্তিতে নিরোধই হচ্ছে ডায়রিয়া
রগেী চিকিৎসার মূল বিবেচ্য সেহেতু চিকিৎসার প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো
পানিস্বল্পতা বা পানিকমতির পরিমান নির্নয়। এখানে উল্লেখ্য যে শিশুদের এই
পানিস্বল্পতা ও এর জটিলতার কারনে মৃত্যুর সম্ভাবনা আপেক্ষিক ভাবে বেশী। সুতরাং
শিশুদের যথাযত পানিস্বল্পতা বা পানিকমতির পরিমান নির্ণয় এবং তার চিকিৎসাই হচেছ
ডায়রিয়া চিকিৎসার মুল প্রতিপাদ্য বিষয়
এই পানিকমতির পরিমান নির্নয়ের
জন্যে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ন সেগুলো
1. কিছু জেনে নিতে হবে,
2. কিছু দেখে ঝুঝে নিতে হবে,
3. কিছু পরীক্ষা করে নির্নয় করতে
হবে,
1. জানতে হবে
01. রোগীর কয়বার বমি হয়েছে?
A. ৪বার এর কম?
B. ৪ থেকে ১০বার?
C. ১০বার এর বেশি?
02. রোগীর বা শিশুটির পানির
পিপাসা কেমন
A. স্বাভাবিক পরিপানে পানি খায়?
B. একটু বেশী পার করার প্রবনতা?
C. পান করতে উদ্গ্রিব কিন্তু
পারছে না?
03. প্রসলাবের সময় ও পরিমান?
A. স্বাভাবিক পরিমান ও সময়ে
হচ্ছে?
B. পরমানে কম ও একটু দেরীতে দেরীতে হচ্ছে?
C. বিগত ৬ ঘন্টায় কো প্রস্রাব হয় নাই?
2.দেখতে হবে
01. আপাত অবস্থা
A. সুস্থ ও সতেজ?
B. পীড়িত এবং বিশ্রামে থাকতে চায়
C. খুবই নিদ্রালু এবং
অজ্ঞানবস্থার মতো
02. চোখ?
A. স্বাভাবিক?
B. কোটরাগত?
C. খুবই কোটরাগত?
03. চোখের জল?
A. জলভরা ছলছলে চোখ?
B. ছলছলে নয়?
C. জল নাই বা বা শুকানো চোখ?
04. মুখ ও জিহূা?
A. স্বাভাবিক?
B. শুকানো?
C. খুবই শুকানো?
05. শ্বাসের অবস্থা (মিনিটে কয়বার
হয় এবং গভিরতা কত?)
A. স্বাভাবিক গতি ও গভিরতা?
B. দ্রুত কিন্তু স্বাভাবিক
গভিরতা?
C. খুবই দ্রুত কিন্তু অস্বাভাবিক
প্রলম্বিত তথা গভিরতর শ্বাস?
3.
পরীক্ষা করতে
হবে এবং বুঝতে হবে?
01.
চিমটি দিয়ে চামড়া টেনে ছেড়ে দিলে?
A. স্বাভাবিক ও তাড়াতাড়ি ফিরে যায়?
B. স্বাভাবিক ও তাড়াতাড়ি ফিরে যায় তবে শেষে একটু
আস্তে?
C. খুবই আস্তে আস্তে ফিরে যায়?
02. নাড়ীর গাত
A. স্বাভাবিক
B. স্বাভাবিক এর ছেয়ে দলতে??
C. খুবই দলতে, দুর্বল ও অনুভব
করা যায় না?
03. মাথার ব্রহ্মতালু
A. স্বাভাবিক?
B. একটু ঢুকানো
C. খুবই ঢুকানো
কিভাবে পানি কমতির চিকিৎসা দিতে হবে
জানা, দেখা এবং পরীক্ষায়
1. যদি সব ক্ষেত্রে যদি (অ) পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে রোগীর তেমন
পানি কমতি নাই।
a. পানি স্বল্পতার পরিমান ::
আনুমানিক ১০-৫০ মিলি/কেজি
1. এই রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন
খাওয়াতে হবে
2. পরিমান:: ৫০মিলি/কেজি আনুমানিক
১কাপ/কেজি প্রথম ৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১চাঃ/কেজী প্রতি ২০-২৫ মিনিট পরপর
2. যদি ৩ বা ততোধিক
ক্ষেত্রে্উপসর্গ তথা লক্ষন যদি (ই) পাওয়া
যায় তবে বুঝতে হবে রোগীর কিছুপানি কমতি আছে
a. পানি সল্পতার পরিমান ::
আনুমানিক ৬০-৯০ মিলি/কেজি
1. এই রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন
খাওয়াতে হবে
2. পরিমান:: ১০০মিলি/কেজি *১/২ গ্লাস/কেজি প্রথম ৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১চামুচ/কেজী প্রতি ১০-১২
মিনিট পরপর
3. যদি ৩ বা ততোধিক
ক্ষেত্রে্উপসর্গ তথা লক্ষন যদি (ঈ) পাওয়া
যায় তবে বুঝতে হবে রোগীর
খুব বেশী মারাত্বক পানি কমতি আছে
a. পানি স্বল্পতার পরিমান ::
আনুমানিক >১০০ মিলি/কেজি
1. এই রোগীকে অন্তঃশীরায়
স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে
2. পরিমান:: ৩০ মিলি/কেজি প্রথম ১ ঘন্টায়, ৮ফোঃ/কেজি/মিঃ ৪০ মিলি/কেজী
পরের ২ ঘন্টায় ৫ফোঃ/কেজী/মিঃ Ò২বছরের বেশী হলে ১০মিলি /কেজী/৪ঘঃ
২. প্রাথমিক ও পুনঃ
পানিস্বল্পতা নিরোধকরন
ডায়রিঢা রোগীর
পানিস্বল্পতা হওয়ার আগে বা একবার পানিস্বল্পতাবা পানি কমতি ঠিক করার পর পরবর্তিতে
যাতে পুনরায় পানি কমতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য খাবার স্যালাইন খাওয়ানো চালিয়ে যেতে
হবে। এই খাবার স্যালাইন
খাওয়ানোর পরিমান এবং মাত্রা নির্ভর করবে মলত্যাগের মাত্রা ও পরিমানের উপর এই পোষন
চিকিৎসার বিধান দেয়া যায় নিচে ছকটিতে সাংকেতিক ভাবে বর্ণনা করা আছে।
ডায়রিয়ার মাত্রা
মলত্যাগ এর মাত্রা প্রতি ২ ঘন্টায় ১ বার বা কম;
প্রতি ঘন্টায় ৫মিলি/কেজী বা কম মলত্যাগ কর্লে
খাবার
স্যালাইনের পরিমান কতটুকু?
$৫ বছরের কম বয়েসী শিশুর জন্য প্রতিবার পায়খানার পর ২চামুচ বা ১০
মিলি/কেজী $বড় শিশুর জন যে পরিমান পান করতে পারে।
মন্তব্য:: এই শিশুকে বাড়ীতে
চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যাবে পানিস্বল্পতার
লক্ষনগুলো মাকে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং এবং পানি কমতি বা স্কল্পতা বেড়ে গেলে পুনঃ নিয়ে আসতে বলতে হবে।
ডায়রিয়ার মাত্রা
মলত্যাগ এর মাত্রা প্রতি ২ ঘন্টায় ১ বার এর বেশী;
প্রতি ঘন্টায় ৫মিলি/কেজী এর বেশী তরল মলত্যাগ কর্লে
খাবার
স্যালাইনের পরিমান কতটুকু?
$ প্রতি ঘন্টায় প্রতি কেজী
ওজনের জন্য ১০-২০মিলি অর্থাৎ
২ -৪চামুচ/কেজি/প্রতি ঘন্টায় ডায়রিয়ার
মাত্রা কমা পর্য্যন্ত
$বড় শিশুর জন যে পরিমান পান
করতে পারে।
মন্তব্য:: এই শিশুকে বাড়ীতে
চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যাবে পানিস্বল্পতার
লক্ষনগুলো মাকে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং এবং পানি কমতি বা স্কল্পতা বেড়ে গেলে পুনঃ
নিয়ে আসতে বলতে হবে।
৩. পূষ্টি সংরক্ষন (কি ভাবে সম্ভব)
ক. কোন অবস্থায়ই ডায়রিয়া রোগীর বুকের ত=দুধ বা অন্য খাবার বন্ধ করা
যাবে না।
খ. ডায়রিয়া রোগীকে পর্য্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য
উৎসাহিত করতে হবে।
গ. ডায়রিয়ার অব্যবহিত পরেই ২,০০,০০০ ইউনিট ভিটামিন এ ২ দিন দিতে হবে। )। এই ভিটামিন এ অন্ত্রের ঝিল্লি আবরনীর ক্ষত ঠিক করে
তোলে। (বাজারে পলাপ্য যে ভিটামিন এ
ক্যাপসুল তাতে প্রতিটিতে ৫০,০০০ ইউনিট থাকে)
ঘ. জিংক সিরাপ দৈনিক ২০মিগ্রা করে ন্যুনতম ২০দিন দিতে হবে । প্রমানিত
হয়েয়েচে যে এই জিংত শোষখ ঝিল্লির ইপরের আবরনীয় কোষের শোষক তন্ত্রীয় ব্রাশ বর্ডার গুলোর ক্ষমতা
পূনরুদ্ধার করে করে এবং এর সাথে আবদ্ধ থেকে আর জীবানর বংশবৃাদ্ধ হতে দেয় না বিধায়
ডায়রিয়ার গতি কাময়ে আনে এবং ভবিষ্যতের সংক্রমনের সম্ভাবনা ও কমিয়ে আনে।
ঙ. সাথে ফলিক এসিড দৈনিক ৫ মিগ্রা করে ২০ দিন দিতে হবে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
৪. ডায়রিয়াতে এন্টিবায়োটিক
ইহা মনে রাখা প্রয়োজন যে ২বছরের ছোট
শিশুদের ক্ষেত্রে ৫০-৬০% ডায়রিয়ার কারন ভাইরাস (রোটা ভাইরাস)
সংক্রমন যাতে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন নায়। তবে সাম্প্রতিক কালে দাবী করা
হয় ইমিডাজোল গ্রুপের সর্বশেশ ঔষধ নিটাজোক্সিন এই ভাইরাসে আক্রানতদের ডায়রিয়ার স্থায়িত্ব কমিয়ে আনে। তবে এই ভাইরাল
ডায়রিয়াতে শ্বসন তন্ত্র সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায়, তাই শ্বাস যন্ত্রের
সম্ভাব্য জীবানুর উপর ক্রীয়াশীল জীবানুর উপর কার্যকর একটি এন্টিবায়োটিক
প্রোফাইলেক্টিক হিসাবে
দেয়া উচিৎ (আমার মতে এটা সিপ্রফক্সাসিন ১৫/কেজী করে দিনে ২ বার করে ৭ দিন)
অন্যান্য জীবানু সংক্রমর জনিত ডায়রিয়ার আপেক্ষিক বিশ্লেষন
জীবানুরপ্রকার
|
লক্ষন
ও উপসর্গ
|
জীবানুর নাম
|
এন্টিবায়োটিকের নাম ও ডোজ
|
ব্যাকটেরিয়া
|
জ্বর, পেটে শুল, বা পেটব্যাথা মিউকাস ও রক্ত সহ মল
|
সিগেলা,
সালমোনিলা
ই,কোলাই,
কোমপাইলোব্যক্টর
যারসিনিয়া
|
সিফ্রোফক্সাসিন::
দৈনিক ৩০মিগ্রা/কেজি ২ ডোজে
|
ব¿াকটেরিয়া
|
জলবৎ
তরল মল
বা
চাল ধোয়া পানির মতো মাঝে মাঝে বমি
পেটে
ব্যাথা থাকতে পারে
|
ই.কোলাই (ইটেক)
ভিব্লিও কলেরা
|
সিফ্রোফক্সাসিন::
দৈনিক
৩০মিগ্রা/কেজি ২ ডোজে
|
প্যারাসাইট
|
শুল,
পেটব্যথা
মিউকাস ও রক্ত সহ মল; তবে দিনে ৬বারেরকম
|
এন্টামিবা
হিষ্টোলাটিকা
জিয়ারডিয়া
লাম্ব^লিয়া
|
মেটেলানিডাজল:৩০মিগ╓া/কেজী/দি
৩ ডোজে ভাগ করে ৭-১৪ দিন
অথবা
নিটাজোক্সিন
|
ডায়রিয়া একটি খাদ্য ও পানিয়
বাহিত রোদ বিথায়
এই রোগ প্রতিরোধের জন্য নিচের
বিষয়গুলোর অভ্যাস থাকা প্রয়োজন
1. পানের এবং ব্যবহারের পানি
অবশ্যই ফুটানো হতে হবে বা নিরাপদ নলকুপের পানি হতে হবে।
2. যে কোন খাবার খাওয়ার আগে
ফুটিয়ে নিতে হবে
3. বাড়ীতে এবং প্রতিবেশে
স্যানিটারী বা জলাবত্থ লেট্রিন ব্যবহার নিশ্চিৎ করতে হবে।
4.
শিশুদের খাওয়ানোর পাত্রগুলো প্রতিবার খাওয়ানোর পর এবং প্রর্বে ফুটানো
গরম জলে পরিস্কার করে নিতে হবে।
স্যার
ReplyDeleteআপনার লেখা পড়ে আমি অনেক উপকার পেয়েছি।
আপনার আরও অনেক অনেক আসুক আর আমরা উপকার পাই।
এই আমাদের আশা ও প্রত্যাশা।
মাহবুব
সহকারি শিক্ষক
হাজীপাড়া সংযুক্ত জুনিয়র জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়।