প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ

  • My Observations
  • রোগসমুহ

প্যারাসাইট বা পরজীবি জনিত জ্বর::: ম্যালেরিয়া

প্যারাসাইট বা পরজীবি জনিত জ্বর::: ম্যালেরিয়া

প্যারাসাইট বা পরজীবি জনিত জ্বরের মধ্যে এই এলাকায় মুখ্য ‘‘ম্যালেরিয়া‘‘
ইহা ছাড়াও লিভারে এমিবা পরজীবি সংক্রমন হলেও ও জ্বর হয়।
কালাজ্বর ও একধরনের পরজীবি সংক্রমন জনিত জ্বর যা বাংলাদেশের  উত্তরাঞ্চলে বেশী আকারে দেখা যায়।
পরজীবি সংক্রমন জনিত জ্বরগুলোর মধ্যে এলাকায় ম্যালেরিয়া একমাত্র ও মুখ্য এবং&এ এলাকার একমাত্র পরজীবি সংক্রমন জনিত অসুস্থতা যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশী থাকে। ‘‘ম্যালেরিয়া‘‘ রোগটি বাংলাদেশের উত্তর পুর্বাঞ্চলীয় সীমামতবর্তী পাহাড়ী এলাকা এবং তৎসংলগ্ন সমতল এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের নিত্য সহসঙ্গী। অবশ্য জীবানুবাহী মশার সাথে সহবাসই এর প্রধান কারন।

ম্যালেরিয়া কি ও কেন?
* সাধারনত মশার কামড়ে সাথে
          প্লাসমোডিয়াম নামক এক পরজীবি (Parasite) জীবানুর শরীরের রক্তে প্রবেশ ও যুগপৎ বংশবৃদ্ধি  ও রক্ত কোষ ধ্বংস জনিত কারনে সৃষ্ট জ্বরসহ এক শারিরীক অসুস্থতাকেই ম্যালেরিয়া বুঝায়।
মশা কামড়ের সময় থেকে জ্বর শুরু পর্য্যমত সময় লাগে  সাধারনতঃ ৮-১২ দিন
৪ ধরনের প্লাসমোডিয়াম নামক পরজীবি সনাক্ত করা হয়েছে।
৪ ধরনের প্লাসমোডিয়াম নামক পরজীবিগুলোর নাম
১.       প্লাসমোডিয়াম ভাইভাক্স (P.Vivax).
২.       প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম(P. Falciparum)
৩.      প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি (P.Malarie).
৪.       প্লাসমোডিয়াম ওভ্যালি (P.Ovale).

তবে এই এলাকায় প্রধান প্রধান হচ্ছে
        @ প্লাসমোডিয়াম ভাইভাক্স এবং এতে আক্রান্ত জনিত কারনে জ্বর হলে রক্তে PVT
          বা প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স ট্রপজয়েট পাওয়া যায়
        @ প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম এবং এতে আক্রান্ত জনিত কারনে জ্বর হলে রক্তে PFT
          বা প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম ট্রপজয়েট পাওয়া যায়
ম্যালেরিয়া কিভাবে হয় এবং শরীরের কি কি ক্ষতি হয়? :সব প্রজাতীর ম্যালেরিয়াতেই
          !মশার কামড়ে ম্যালেরিযার জীবানুর ১টা পর্য্যায় রক্তে প্রবেশ করে;
          !রক্ত দ্বারা বাহিত হয়ে তা লিভার বা যকৃৎ-এ প্রবেশ করে;
          !লিভার-এ যুগপৎ সংখ্যাবৃদ্ধি ও পক্ষতা পেয়ে তা রক্তে প্রবিষ্ট হওয়ার পর্য্যায়ে উন্নিত হয়; 
          !এপর্য্যায় লিভার থেকে বের হয়ে রক্তের লোহিত কনিকাগুলো আক্রমন করে;        
          !লোহিত কনিকার ভেতরে ম্যালেরিয়ার জীবানু পুনরায়ঃ বংশবৃদ্ধি ও পক্ষতা পায়;
          !এপর্য্যায়ে আক্রামত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায় এবং ম্যালেরিয়ার জীবানু রক্তে ছড়িয়ে পড়ে; 
          ! ম্যালেরিয়ার জীবানু রক্তে ছড়িয়ে পড়লে    ম্যালেরিয়া জ্বরের লক্ষন দেখা দেয়।

ম্যালেরিয়া জ্বরের বৈশিষ্ট্য
- প্রথমে (স্থানীয় ভাষায় দাঁত গিরগিরানি দিয়ে) প্রচন্ড কাপুনি সহ তীব্র শীত ও মাথা ব্যাথা অনুভুত হয়ে তীব্র জ্বর হয় যা ১০৪/ ১০৫ পর্য্যমত হতে পারে।
- ৩-৪ পর্য্যমত তীব্রজ্বর সহ প্রচন্ড গরম অনুভুত হতে থাকে।
- এর ৪/৫ঘন্টা পর শরীর থেকে অত্যাধিক ঘাম ঝড়্তে থাকে এবং সম্পুর্ন জ্বর  ছেড়ে দেয়;
- তখন খুবই দুর্বলতা অনুভুত হয়।
- প্রথম দিকে এইজ্বর ১দিন পরপর উঠে;
- যথাযত ম্যালেরিয়া-নাশক খাওয়ানো নাহলে পরবর্তিতে প্রতিদিন জ্বর উঠতে থাকে (PFT)
- একসময় তা সব সময় থাকে (প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম জনিত হলে),
- এবং দ্রুত বিভিন্ন জটিলতা দেয়া দেয়।

ম্যালেরিয়াতে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়?
ইহা ছাড়াও ম্যালেরিয়াতে
          @লোহিত রক্তকনিকা নষ্ট হওয়ার কারনে রক্তাল্পতা বা Anaemia দেখা দেয়;
          @নষ্ট রক্তকনিকার কারনে প্লিহা(Spleen) এবং লিভারের স্ফিতি হয় বা ফুলে যায়।
          @বিশেষত:- ফ্যালসিফেরাম প্রজাতী দ্বারা সংক্রমিত বা PfT ম্যালেরিয়াতে
          ! ম্যালেরিয়ার জীবানু সংখ্যা বৃদ্ধি এত বেশী দ্রুত ও বেশী হয় যে তাতে
          ! অতিরিক্ত বেশী রক্তকনিকা আক্রামত ও দ্রুত ভেঙ্গে যায়; ফলে
          ! দ্রুত রক্তাল্পতা(Anaemia) সৃষ্টি হয়;
          ! দ্রুত সৃষ্ট এই রক্তাল্পতা(Anaemia) এবং
          ! রক্তনালীতে জীবানু আধিক্যের কারনে রক্তের প্রয়োজনীয় পুষ্টি  ও অক্সিজেন           
              শরীরের কোষ- কলায় প্রবেশ কর্তে পারেনা,
          @ উপরোক্ত কারনে----
                   !বিভিন্ন কোষকলায় মারাত্বক অক্সিজেন ও পুষ্টি (যেমন গ্লুকোজ, আমিষ, খনিজসহ           তরল পদাথ)র্ ঘাট্তি দেখা  দেয় এবং এই কারনে বিভিন্ন জটিল উপসর্গ দেখা দেয়।
                  
আর এই মারাত্বক অক্সিজেন ও পুষ্টি ঘাট্তি শরীরে বিভিন্ন অংশ ও তন্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন উপসর্গ এবং লক্ষন সৃষ্টিকরে।
যেমন এই মারাত্বক অক্সিজেন ও পুষ্টি ঘাট্তি
* ব্রেইনে হলে
!রোগী অসংলগ্ন কথা বলে, 
!অস্বাভাবিক আচরন করে; 
!খীচুনি হয় এবং
!ত্বরিৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে
* কিড্নিতে হলে
!প্রশ্রাব বন্ধ হয় ও
!রোগীর কিড্নি ফেইল করে বা
! কিড্নির কর্মক্ষমতা লোপ পায়

* গর্ভবতীর জঠরে হলে
!গর্ভফুল/ প্লাসেন্টা ছিড়ে গর্ভপাত হয়।
!রক্তক্ষরন হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়ে যায়
* ফুসফুসে হলে
!ফুসফুসে পানি জমে যায়;
!শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
* পরিপাকতমেত্র হলে
!রোগীর ডায়রিয়া হয় ও
!পানিশুন্যতা সৃষ্টি হয়ে শক হয়।

ইহা ছাড়াও অক্সিজেন কম্তিতে কোষকলায় সংগঠিত রেচন বা Metabolism প্রক্রিয়ায় অম্ল বা Acid আধিক্য দেখা দেয় (Acidosis) যা রক্তের সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গাংশে গিয়ে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
যেহেতু জীবানুসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতি ২৪-৪৮ ঘন্টা অমতর জ্যামিতিক হারে বাড়্তে থাকে এবং নুতন রক্তকোষ আক্রান্ত হতে থাকে, সেহেতু উপরের উপসর্গগুলো সহসা সৃষ্টি হয়; এবং তাতে
--আক্রামত রোগীর অবস্থা  দ্রুত জটিল হয়ে যায়; ও সহসা মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
সুতরাং ইহা বুঝা যায় যে; যত দ্রুত ম্যালেরিয়া রোগীকে ম্যালেরিয়া-জীবানুনাশক প্রয়োগ করা যায় ততই রোগীকে জটিলতায় আক্রামত হওয়া থেকে রক্ষা করা নিশ্চিৎ করা যায়।
কিন্তু! ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারনতঃ রক্ত পরীক্ষাতে জীবানুর অস্তিত্ব  নির্নয় করার উপর নির্ভর করে;
PfT ম্যালেরিয়া চিকিৎসাতে সমস্যা সমুহ
১. দেরীতে Bl. MP (রক্তকাঁচে ম্যালেরিয়া জীবানু সনাক্ত করন পরীক্ষা)-র প্রতিবেদন পাওয়া যাওয়া।
২. ভুল রিপোর্ট হওয়া বা নির্ভর যোগ্য রিপোর্ট পাওয়া না যাওয়া।
৩. ম্যালেরিয়া জীবানুর উপর ক্লোরকুইন (নিভাকুইন, এভ্লোক্লোর বা জেসোক্লোর) এর কার্য্যকারিতা সম্বন্ধে স্বচছ ধারনার অভাব।

দুর্ভাগ্যবশতঃ রক্তপরীক্ষার (১) ফলাফল প্রাপ্তির এ বিলম্ব ও (২) ফলাফলে এ বিভ্রামত রিপোর্ট এবং ম্যালেরিয়া রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিভিন্ন ওষুধের কার্য্যকারিতা সম্বন্ধে এ বিভ্রামিত
সব সময় রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানে বিলম্ব ও বিভ্রামিত ঘটায়; 
কিন্তু PvT ম্যালেরিয়া  বা ভাইভাক্সে আক্রামত রোগীর সে সম্ভাবনা থাকে না আবার  এতে ক্লোরকুইন বা এব্লাক্লোর ১০০% কার্য্যকর। 

চিকিৎসার প্রয়োজনে ম্যালেরিয়াকে ৩ ভাবে ভাগ করা হইয়াছে
০১. জটিলতাহীন সন্দেহজনক ম্যালেরিয়া
০২. জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ম্যালেরিয়া
০৩. সিভিয়ার বা মারাত্বক ও জটিল ম্যালেরিয়া



০১. জটিলতাহীন সন্দেহজনক ম্যালেরিয়া (Uncomplicated Malaria - Presumptive)
বেশি প্রকোপ আছে এরুপ এলাকায় যে কোন জ্বরের রোগীকে জটিলতাহীন সন্দেহজনক ম্যালেরিয়া রোগী হিসাবে চিকিৎসা দিতে হবে যদি ঐ রোগীর
০১. জ্বরের কারন হিসাবে কিছুই সনাক্ত করা না যাই,
০২. জ্বরের সাথে অন্য কোন জটিল কোন লক্ষন বা উপসর্গ না থাকে,
০৩. যদি এ জ্বরের জন্য যথাযত পরিমানে ম্যালেরিয়া নাশক বিগত এক মাসের মধ্যে না খেয়ে থাকে।
এরূপ রোগীকে রক্ত পরীক্ষা ছাড়ায় চিকিৎসা দেয়ার কথা বলা হয়েছে বিধায় এই ধরনের জ্বরের রোগীকে জটিলতাহীন সন্দেহজনক ম্যালেরিয়া।
রোগীকে ’’দৈনিক ১ ডোজ করে ৩ দিন’’ ক্লোরকুইন দিয়ে চিকিৎসা করিতে হবে
১ম দিন : ১০মিগ্রা/কেজি,       ২য়দিন : ৭.৫মিগ্রা/কেজি,      ৩য়দিন: ৭.৫মিগ্রা/কেজি
৪র্থদিন ১ডোজ প্রাইমাকুইন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জনগোষ্ঠিতে ম্যালেরিযা নিয়ন্ত্রনের লক্ষে।

০২. জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ম্যালেরিয়া (Uncomplicated Malaria - Confirmed)
রোগীর রক্তকাঁচ পরীক্ষা করে এ রোগ নিনীত হয়।

প্যারাসাইটের প্রজাতি অনুসারে জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ম্যালেরিয়া ২ প্রকার
০১. কোন জটিলতা নাই এরুপ জ্বরের রোগীর রক্তকাঁচ পরীক্ষা করে Pvt  পাওয়া গেলে
তখন ঐ রোগীর রোগকে জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ভাইভাক্স ম্যালেরিয়া বলে
এক্ষেত্রে চিকিৎসা হলো
ক্লোরকুইন::রোগীকে দৈনিক ১ ডোজ করে ৩ দিন ক্লোরকুইন দিয়ে চিকিৎসা করিতে হবে
১ম দিন : ১০মিগ্রা/কেজি, ২য়দিন : ৭.৫মিগ্রা/কেজি, ৩য়দিন: ৭.৫মিগ্রা/কেজি
সাথে  (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
প্রাইমাকুইন ::রোগীকে ০.৩৫মিগ্রা/কেজী হিসাবে দিনে ১ ডোজ করে মোট ১৫ দিন

০২. কোন জটিলতাহীন জ্বরের রোগীর রক্তকাঁচ পরীক্ষা করে  Pft  পাওয়া গেলে তখন ঐরোগীর রোগকে জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়া বলে:
এ ধরনের রোগীকে দুইভাবে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চিকিৎসা
প্রথম অপশান:
ওষুধের নাম:- কুইনাইন টেবলেট, ৮ ঘন্টা পরপর দৈনিক ৩ ডোজ, প্রতি ডোজে: ১০ মিগ্রা/কেজি
মোট :- ৫ থেকে ৭ দিন:
যদি ৫ দিন চিকিৎসা দিতে হয় তবে: ৬ষ্ট দিন ১ ডোজ সালফাডক্সিন + পাইরিমিথামিন (ফেন্সিডার)

২য় পদ্ধতি
ওষুধের নাম:- কোআর্টেম(আর্টেসুনেট (২০মিগ্রা) ও লুমিফেট্রিন (১২০মিগ্রা) ) টেবলেট,  ৩ দিনে মোট ৬ ডোজ


ডোজগুলো সেবন করতে হবে নিম্ন বর্ণিত ভাবে
ডোজ গুলো  à (১ম) ৮ঘঃ পর (২য়) ১২ঘঃ পর (৩য়) ১২ঘঃ পর (৪য়) ১২ঘঃ পর (৫ম) ১২ঘঃ পর (৬ষ্ঠ)

রোগীর ওজন ৩০কেজির বেশী  হলে:::::::::::
(৪বড়ি) ৮ঘঃ পর (৪বড়ি) ১২ঘঃ পর (৪বড়ি) ১২ঘঃ পর (৪বড়ি) ১২ঘঃ পর (৪বড়ি) ১২ঘঃ পর (৪বড়ি)
রোগীর ওজন ৩০কেজির কম  হলে:::::::::::
 (৩বড়ি) ৮ঘঃ পর (৩বড়ি) ১২ঘঃ পর (৩ বড়ি) ১২ঘঃ পর (৩বড়ি) ১২ঘঃ পর (৩বড়ি) ১২ঘঃ পর (৩বড়ি)
রোগীর ওজন ১৫ কেজির বেশী  হলে:::::::::::
(২বড়ি) ৮ঘঃ পর (২বড়ি) ১২ঘঃ পর (২বড়ি) ১২ঘঃ পর (২বড়ি) ১২ঘঃ পর (২বড়ি) ১২ঘঃ পর (২বড়ি)

কোআর্টেম ম্যালেরিয়া জীবানু নাশক আর্টেসুনেট ও লুমিফেট্রিন এই ২ টা ঔষুধের নিদ্দিষ্ট মাত্রার সমন্বয়ে তৈরী একটি ম্যালেরিয়া নাশক ওষুধের একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড নাম, এরুপ আরো একটি কোম্পানির ও এই মিশ্র ওষুধ পাওয়া যাযিার নাম এরিক্সেল) ।
মারাত্বক ও জটিল ম্যালেরিয়া বা  SEVERE MALARIA {SM})
যে কোন জ্বরের রোগীকে মারাত্বক ম্যালেরিয়া বা  SEVERE MALARIA {SM})  হিসাবে ত্বরিৎ সনাক্ত ও দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে রোগীর যদি
১. অসুস্থতার শুরুতে প্রধান উপসর্গ (Symptom)  জ্বর বা জ্বরের ইতিহাস হয়, এবং
২. যদি জ্বর ছাড়া ও নিচের যে কোন একটি বা একাধিক মারত্বক লক্ষন বা জটিলতা থাকে যেমন;
                        ১. অজ্ঞান বা অচেতন অবস্থা
                        ২. অগোছালো কথাবলা বা এলোমেলো  আচরন করা
                        ৩. খীচুনি হওয়া
                        ৪. নিজে নিজে উঠে দাড়াতে নাপারার মতো দুর্বলতা
                        ৫. মাত্রাতিরিক্ত বমি বা তরল পায়খানা জনিত শক্ অবস্থা
                        ৬. অতিরিক্ত ফ্যাকাসে ভাব বা এনেমিয়া
৩. যদি সে জ্বরের আপাতঃ অন্য কোন কারকের লক্ষন না থাকে বা সনাক্ত করা না যায়। ও
৩. যদি সে রোগী বিগত ৩০ দিনের মধ্যে অন্য কোন বা সেই জ্বরের জন্য যথাযত পরিমানে ও ঠিকমতো ডোজে (সংযুক্ত  চাট অনুযায়ী) ম্যালেরিয়া নাশক তিন দিন ক্লোরকুইন বা  এক ডোজ ফেন্সিডার না খেয়ে থাকে এবং
৫. রক্ত পরীক্ষা Bl. MP কর্লে PfT+ve পাওয়া যায়

কি ভাবে মারাত্বক ম্যালেরিয়া বা  SEVERE MALARIA {SM} রোগীকে ব্যাবস্থাপনা বা চিকিৎসা  দিতে হবে?
        মারাত্বক ম্যালেরিয়া বা  Severe Malaria জরুরী রোগী। এতে মৃত্যূর সম্ভাবনা বা ঝুকি প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ। ম্যালেরিয়া নাশক প্রয়োগ এবং জটিলতা সনা্ক্ত পুর্বক চিকিৎসা প্রদান যতই বিলম্বিত হবে রোগীর মৃত্যূর সম্ভাবনা বা ঝৃুকি ততই বেড়ে যায়। সুতরাং রোগীকে দ্রুত
*** কুইনাইন ইন্জেকশান (ছক-গ অনুসারে) দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে
*** এইসকল রোগীর জটিলতা গুলো যেহেতু বাড়ীতে চিকিৎসা করা সম্ভর না সেহেতু
*** রোগীকে তাৎক্ষনিক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাইতে হবে।
তবে; মারাত্বক ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে
সবসময় চিকিৎসা প্রদানকারীদের নিম্নের বিষয়গুলো স্মরণ রাখ্তে হবে।  
ক- মারাত্বক ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসা অবশ্য অবশ্যই হাসপাতালে কর্তে হবে।
খ-রক্তে PFT সংক্রমন হলে, মারাতবক ও জটিল ম্যালেরিয়া রোগ হওয়ার ঝুকি থাকে এরূপ জনগোষ্টি হচ্ছে
--চিকিৎসা অপর্যাপ্ত বা বিলম্বিত হলে যে কোন ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়া রোগীর অসুস্থতা মারাত্বক হয়ে যেতে পারে যাতে মৃত্যু ঝুকি থাকে।
তাছাড়াও নিচে বর্ণিত জনগৌষ্টির মারাত্বক ম্যালেরিয়া হওয়ার ঝুকি রহিয়াছে। যেমন
--- উচ্চ প্রকোপের ম্যালেরিয়া এলাকার ৬মাস থেকে ৬য় বছরের শিশুদের
--- গর্ভবতীদের বিশেষতঃ তাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায়।
--- নিম্ন প্রকোপ বা প্রকোপহীন এলাকার যে কোন লোক যখন উচ্চ প্রকোপের জায়গায় আসে।
--- ৫ বছরের অধিক একনাগারে প্রকোপহীন প্রবাসে থাবার পর ফিরে আসলে।
--- নিম্ন প্রকোপের এলাকার যে কোন জনগৌষ্টি।
          গ- দৃঢ় সন্দেহের ক্ষেত্রে রক্তকাঁচে জীবানু পাওয়া না গেলে ও মারাত্বক ম্যালেরিয়া হিসাবে সন্দেহ হলেই ইন্জ কুইনাইন দিয়ে যে কোন রোগীকে ম্যালেরিয়া হিসাবে চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। তবে চিকিৎসা শুরুর আগেই রক্ত কাঁচ সংগ্রহ করে রেখে দিতে হবে এবং রোগীকে অবশ্যই ন্যুনতম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করিতে হবে ।
          ঘ- মারাত্ববক বা জটিল ম্যালেরিয়া রোগীকে কুইনাইন অবশ্যই মুখে খাওয়ানো যাবে না। মুখ-ব্যতিত পথেই বা ইনজেকশানের মাধ্যমে প্রয়োগ কর্তে হবে।
          ঙ- কুইনাইন দেয়ার পর শরীরের গ্লুকোজ মারাত্বক ভাবে কমে যেতে পারে। তাই প্রতিবার কুইনাইন ইনে্জকশান দেয়ার পুর্বে ২৫% গ্লুকোজ ১০-২০ মিলি আইভি বা অন্তঃশীরায় বোলাস দিতে হবে।
          চ- গর্ভবতীকে চিকিৎসার জন্য সুপারিশকৃত ডোজে কুইনাইন দেয়া হলে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নায়; এমনকি গর্ভবতীর ও না।

বতমানে ব্যবহৃত ম্যালেরিয়া নাশক ঔষধের নামসমুহ ডোজ ও বাজারে পাওয়া ব্রান্ডের নাম
ঔষধের  নাম /এককের মাত্রা
প্রতি ডোজের পরিমান/কেজি
 দৈনিক ডোজের সংখ্যা
কতদিন খেতে হবে
বাজারের প্রাপ্য নাম
ক্লোরকুইন বেইস
টেব=১৫০ মিগ্রা
চামচ=৫০ মিগ্রা
১ম দিন :  ১০মিগ্রা/কেজী
২য় দিন : ৭.৫মিগ্রা/কেজি
৩য় দিন : ৭.৫মিগ্রা/কেজি
১ (এক)
 প্রতি দিন এক (১) ডোজ
 মোট ৩ দিন
  * নিভাকুইন
  * জেসোক্লোর
  * কুইনোলেক্স
কুইনাইন সল্ট 
প্রতি টেবলেটে  = ৩০০ মিগ্রা
প্রতি এম্প  ইন্জ = ৩০০মিগ্রা                     

   ১০ মিগ্রা/কেজি

দৈনিক  তিন (৩) ডোজ
৮ ঘন্টা অমতর এবং  প্রতি ২৪ ঘন্টায়  তিন (৩) ডোজ
মোট ৫ থেকে
৭ দিন পর্য্যমত
  * জেসোকুইন
  * কেনাকুইন
সাল্ফাডক্সিন+পাইরিমিথামিন
মিশ্রিত বড়ি , প্রতি বড়িতে
সাল্ফাডক্সিন     =৫০০মিগ্রা
পাইরিমিথামিন  =২৫ মিগ্রা
সাল্ফাডক্সিন  
            =২৫মিগ্রা/কেজি
পাইরিমিথামিন 
            =১.২৫মি/কেজি
এক (১) ডোজ
 শুধুই  ১ (এক) ডোজ :- ৪র্থ দিন
  * ফেন্সিডার
  * সাল্ফামিন
  * মেলাসাইড
  * মেলাডক্সিন


ওষুধের নাম:- কোআর্টেম (আর্টেসুনেট ও লুমিফেট্রিন এর নিদ্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রন) টেবলেট, 
                    সেবন করতে হয় মোট  ৬ ডোজ ,
                     ডোজের সময় বিন্যাস
                    (১ম) ৮ঘঃ পর (২য়) ১২ঘঃ পর (৩য়) ২ঘঃ পর (৪য়) ১২ঘঃ পর (৫ম) ১২ঘঃ পর (৬ষ্ঠ)
ডোজের মাত্রা শরীরের ওজন অনুসারে
>৩৫কেজী (৪টেঃ)৮ঘঃ পর (৪টেঃ) ১২ঘঃ পর (৪টেঃ) ১২ঘঃ পর (৪টেঃ) ১২ঘঃ পর (৪টেঃ) ১২ঘঃ পর (৪টেঃ)
<৩৫কেজী (৩টেঃ)৮ঘঃ পর (৩টেঃ) ১২ঘঃ পর (৩টেঃ) ১২ঘঃ পর (৩টেঃ) ১২ঘঃ পর (৩টেঃ) ১২ঘঃ পর (৩টেঃ)
<২৫কেজী (২টেঃ)৮ঘঃ পর (২টেঃ) ১২ঘঃ পর (২টেঃ) ১২ঘঃ পর (২টেঃ) ১২ঘঃ পর (২টেঃ) ১২ঘঃ পর (২টেঃ)
<১৫কেজী (১টেঃ)৮ঘঃ পর (১টেঃ) ১২ঘঃ পর (১টেঃ) ১২ঘঃ পর (১টেঃ) ১২ঘঃ পর (১টেঃ) ১২ঘঃ পর (১টেঃ)
প্রিমাকুইন::  টেব=১৫ মিগ্রা:  ভাইভাক্স জীবানু নির্মূল এবং জনগোষ্টিতে ফেলসিফেরাম নিয়ন্ত্রনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
     কা’দের দেয়া যাবে না:- ’’অপক্কভাবে  জম্ম নেয়া শিশু, গর্ভবতীকে, স্থন্যদায়ী মাকে, ৬৫বছর উর্ধে, ১বছরের নিচে,
     রক্ত জমাটের অসুবিধা আছে এরুপ লোকদেরকে’’
ফ্যালসিফেরাম নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে                              ০.৮ মিগ্রা/কেজি ,   ১ (এক) ডোজ:- ৪র্থ দিন বা পরে
ভাইভাক্সে রোগের পুনরাবৃত্তি রোধের প্রয়োজনে      ০.৩৫ মিগ্রা/কেজি   দৈনিক ১ ডোজ করে ১৪ দিন
বাজারে যে নামে পাওয়া যায়: * জেসোপ্রিম,  * পিমাকুইন
জটিলতাহীন সম্ভাব্য ম্যালেরিয়া রোগী এবং
জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ভাইভাক্স (PvT) ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসা ছক
জটিলতাহীন সম্ভাব্য ম্যালেরিয়া রোগী এবং জটিলতাহীন নিশ্চিৎ ভাইভাক্স (PvT) ম্যালেরিয়া রোগীর যে কোন জ্বরের রোগীকে (রক্ত পরীক্ষাছাড়া) সন্দেহজনক ম্যালেরিয়ার  চিকিৎসার জন্য
 প্রতিদিন ১ বার     
১ম দিন
 ২য় দিন
  ৩য় দিন
  ৪র্থ দিন (নিচে দ্রষ্টব্য)
ঔষধের নাম
এককের মাত্রা
ক্লোরকু্ইন
১৫০মিগ্রা/বড়ি
৫০ মিগ্রা/চাম.
ক্লোরকু্ইন
১৫০মিগ্রা/বড়ি
 ৫০ মিগ্রা/চাম
ক্লোরকু্ইন
১৫০মিগ্রা/বড়ি
৫০ মিগ্রা/চাম
প্রিমাকু্ইন
১৫ মিগ্রা/বড়ি
ওজন ০৩-০৫কেজি
১/৪ বড়ি
৩/৪ চামুচ
১/৪ বড়ি
৩/৪ চামুচ
১/৪ বড়ি
৩/৪ চামুচ
দেয়া যাবে না
ওজন ০৬-০৯কেজি
১/২বড়ি/১.৫চামুচ
১/২ বড়ি
১.৫ চামুচ
১/২ বড়ি
১.৫ চামুচ
দেয়া যাবে না
ওজন ১০-১৪কেজি
১ বড়ি/৩ চামুচ
১ বড়ি/৩ চামুচ
১ বড়ি/৩ চামুচ
১/২ বড়ি
ওজন ১৫-২০কেজি
১ বড়ি বা৩ চামুচ
১ বড়ি/৩ চামুচ
১ বড়ি/৩ চামুচ
১/২ বড়ি
ওজন ২১-২৯কেজি
১.৫ বড়ি
১.৫ বড়ি
১.৫ বড়ি
১ বড়ি
ওজন ৩০-৩৯কেজি
২ বড়ি
২ বড়ি
২ বড়ি
১.৫ বড়ি
ওজন ৪০-৪৯কেজি
৩ বড়ি
৩ বড়ি
৩ বড়ি
২ বড়ি
ওজন ৫০কেজি/ উর্দ্ধে
৪ বড়ি
৩ বড়ি
৩ বড়ি
৩ বড়ি
দ্রষ্টব্য:: জটিলতাহীন নিশ্চিৎ {ভাইভাক্স (PvT)} ম্যালেরিয়া:রোগীর ক্ষেত্রে
’’প্রিমাকুইন’’ দৈনিক ১ ডোজ ০.৩৫মিগ্রা/কেজী হিসাবে মোট ১৪ দিন দিতে হবে যকৃতের হিপনোজয়েট বা সুপ্ত ম্যালেরিয়ার জীবানু নাশক হিসাবে (বিশেষ বিবেচনায়)

জটিলতাহীন নিশ্চিৎ  {ফ্যলসিফেরাম (PfT)} জনিত ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য
ঔষধের নাম:: কু্ইনাইন
৩০০মিগ্রা/বড়ি
মোট ৭ দিন ৮ঘঃ অন্তর দিনে ৩বার
ওজন ০৩-০৫কেজি
১/৪ বড়ি
ওজন ০৬-০৯কেজি
১/৪ বড়ি
ওজন ১০-১৪কেজি
১/২ বড়ি
ওজন ১৫-২০কেজি
১/২ বড়ি
ওজন ২১-২৯কেজি
১ বড়ি
ওজন ৩০-৩৯কেজি
১.৫ বড়ি
ওজন ৪০-৪৯কেজি
২ বড়ি
ওজন ৫০কেজি ও  উর্দ্ধে
২ বড়ি

জটিলতাগ্রস্ত ও মারাত্বক ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য
এই রুপ রোগীকে হাসপাতালের বেডে  চিকিৎসাই হবে বিকল্পহীন বিবেচ্য বিষয়।
বিতর্ক হীনভাবে মুখব্যাতিত পথেই কুইনাইন প্রয়োগই হচ্চে এরুপ রোগীর চি
তিাৎক্ষনিক প্রথম লোডিং ডোজ
১. ইন্জ কুইনাইন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড; পরিমান:- প্রতিকেজী ওজনের জন্য ২০মিগ্রা সাথে
২. ৫% ডেক্সট্রোজ স্যালাইন; পরিমান:- প্রতিকেজী ওজনের জন্য ৫-১০ সিসি করে (রগীর পানিস্বল্পতার মাত্রার উপর নির্ধারন করতে হবে) হিসাব করে ।
৩. সময়:- ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে।
৪. ইন্জ. দিতে হবে অমতঃশীরা পথে,
          f তবে পুর্ববর্তি ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে কোন ধরনের কুইনাইন বা ৭ দিনের মধ্যে মেফ্লোকুইন খাওয়ার ইতিহাস থাক্লে সাধারন ডোজে অর্থাৎ  ১০ মিগ্রা/কেজি হিসাবে কুইনাইন শুরু কর্তে হবে; লোডিং ডোজ দেয়া যাবে না।
     যে কোন কারনে অমতঃশীরায় ইন্জেকশান দেয়া সম্ভব না হলে বা বিলম্বিত হলে ইন্জ. কুইনাইন মাংসপেশীতে দিয়ে দেয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতি ও সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে হবে।
১.  প্রযোজ্য পরিমান কুইনাইন দুই সমান অংশে ভাগ করে ।
২. দুই উরূর সামনের মধ্যাংশের মাংশপেশীতে দিতে হবে।
৩. ইন্জ. কুইনাইন-এর পরিমান প্রতি সিসি তে ৬০ মিঃগ্রাঃ এর বেশী থাকতে পারবে না।
৪. তবে কোন সময় সরাসরি ইন্জ. কুইনাইন একসাথে অমতঃশীরায় দেয়া যাবে না।
৫. এবং বাড়ীর রোগীকে পরবর্তিতে ন্যুনতম সময়ের মধ্যে হাসপালে ভর্তি নিশ্চিত করিতে হইবে 
কুইনাইন-এর পরবর্তি ডোজগুলো দেয়ার জন্যে।
১. নির্ভরযোগ্য ভাবে মুখে খেতে পারা পর্যমত ইন্জ হিসাবে কুইনাইন চলবে (২দিন থেকে ৩ দিন তবে ৩য়দিন ডোজ এক তৃতীয়াংশ কমাতে হবে। এবং পরবর্তিতে নির্ভরযোগ্যভাবে মুখে খেতে পার্লে টেবলেট কুইনাইন ৫ থেকে ৭দিন চলবে তবে মোট ৭ দিনের বেশী নয়।
২. লোডিং ডোজ শুরুর ১২ঘন্টা পর ২য় ডোজ শুরু কর্তে হবে, পরবর্তিতে ৮ ঘন্টা অমতর চলবে।
৩. ডোজ:- ১০মিগ্রা/কেজী, তবে ৭মডোজ থেকে (যদি ইন্জ হয়) ৭.৫ মিঃগ্রাঃ করে।
৪. ৪র্থ দিন বা মুখে খেতে পারলে এক ডোজ করে ফেন্সিডার এবং প্রিমাকুইন ছক মতে দিতে হবে ।

  ম্যালেরিয়া চিকিৎসা ছক-গ 
কেজিতে  ওজন
ইন্জ. কুইনাইন এর পরিমান
টেব. কুইনাইন এর পরিমান
টটেব.ফেন্সিডারএর পরিমান
টেব. প্রিমাকুইন এর পরিমান
০.৫ সিসি
১/৪ বড়ি
১/৪ বড়ি
-
৪-৫
১ সিসি
১/৪ বড়ি
১/৪ বড়ি
-
৬-৯
১.৫ সিসি
১/৪ বড়ি
১/২ বড়ি
১/৪ বড়ি
১০-১৪
২ সিসি
১/২ বড়ি
১ বড়ি
১/২ বড়ি
১৫-১৯
৩ সিসি
১/২ বড়ি
১ বড়ি
১/২ বড়ি
২০-২৪
৪ সিসি
১ বড়ি
১.৫ বড়ি
১ বড়ি
২৫-২৯
৫ সিসি
১ বড়ি
১.৫ বড়ি
১ বড়ি
৩০-৩৯
৬ সিসি
১.৫ বড়ি
২ বড়ি
১.৫ বড়ি
৪০-৪৯
৭.৫ সিসি
১.৫ বড়ি
২.৫ বড়ি
২ বড়ি
৫০+
১০ সিসি
২ বড়ি
৩ বড়ি
৩ বড়ি
  বিশেষভাবে স্মরন রাখা প্রয়োজন
          ১. মারাত্বক ও অজ্ঞান ম্যালেরিয়া রোগী এমনিতেই রক্তে গ্লুকোজ কমতিতে ভুগে, কুইনাইন দেয়ার সময় বা পরে এই কমতি আরো মারাত্বকভাবে কমে যেতে পারে; যাতে রোগী আরো গভীর অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। সুতরাং রগীকে ১-২ মিলি/কেজী হিসাবে ২৫% গ্লুকোজ আইভি দেয়া প্রয়োজন কুইনাইন দেয়ার সাথে সাথে।
          ২. শিশু এবং গর্ভবতী ফেল্সিফেরাম আক্রামতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ম্যালেরিয়া জীবানু নাশক দিয়ে চিকিৎসা শুরু না হলে সহসা মারাত্বক ম্যালেরিয়া হয়ে যেতে পারে।
          ৩. শিশু এবং গর্ভবতী মারাত্বক ম্যালেরিয়া আক্রামতদের মধ্যে মারাত্বক গ্লুকোজ কমতি বা Hypoglycaemia  ও ফুসফুসে পানি আসার সম্ভাবনা সব ছেয়ে বেশী।
          ৪. পানিস্বল্পতার কারনে কিডনী নষ্ট Renal Failure হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ম্যালেরিয়া রোগীদের মধ্যে খুবই বেশী।
          ৫. চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত পরিমান ডোজে কুইনাইন প্রয়োগ করা হলে গর্ভবতীর ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন থাকে না (Chemotherapy of Malaria, WHO, 1986), তবে ইহা ও মনে রাখা উচিৎ যে ম্যালেরিয়া বা অতিরিক্ত জ্বরের কারনে ও গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
          ৬. হাসপাতালে প্রেরনের সময় রোগীর পুর্ন অবস্থা বর্ননা করে কুইনাইন দেয়ার পরিমান, সময় এবং প্রয়োগপথ উল্লেখ করে লিখে দেয়া উচিৎ।
          ৭. ওরাডেক্সন বা ম্যানিটল ম্যালেরিয়া রোগীর জন্য খারাপ পরিনতি ঘটাতে পারে।
          ৮. অজ্ঞান রোগী এস্পিরেশান (শ্বাসপথে তরল পদার্থ ঢুকে গিয়ে এই জটিলতা হতে পারে)    নিউমোনিয়াতে বেশী মারা যায়। 


No comments:

Post a Comment