পোড়া- রোগীর তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাপনা
কারন
অনুযায়ী পোড়া রোগী ২ ধরনের হয় ::
(১)
শুষ্ক (Dry) পোড়া - এর মধ্যে ইলেকিট্রক শকে
পোড়া, অন্যতম
(২)
ভেজা (Wet) পোড়া - এর মধ্যে এসিডে পোড়া,
অন্যতম
আবার
ধরন অনুযায়ী ও পোড়া
রোগী ২ ধরনের হয় ::
(১)
উপরিস্থিত পোড়া বা Superficial Burn যখন চামড়া বা উপরিস্থিত আবরনী পোড়া
যায়।
(২)
গভীর পোড়া বা Deep Burn যখন
চামড়ার নিচে মাংসপেশী সহ পোড়া যায়।
পোড়া-
রোগীর কি কি জটিলতা এবং বিপদ হতে পারে---
তাৎক্ষনিক
জটিলতা এবং বিপদসমুহ:
(০) প্রয়োজনীয় অংগ বা তন্ত্র পুড়ে বা
শ্বাসপথে ধোয়া ঢুকে শ্বাস বন্ধ হয়ে রোগীর তাৎক্ষনিক মৃত্যু হতে পারে।
(১) ব্যাথা এবং ভয়জনিত কারনে শক হতে পারে,
তাতে তাৎক্ষনিক মৃত্যু ও হতে পারে।
(২) শরীরের পানি কমে গিয়ে কিডনী নষ্ট বা
কিডনি ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে যাতে রোগীর তাৎক্ষনিক
মৃত্যু হতে পারে।
মধ্যবর্তি
বা জটিলতা বা বিপদসমুহ
(০১). পুড়ে যাওয়া স্থানে জীবানু সংক্রমন জনিত কারনে সেলুলাইটিস দেখা
দিতে
পারে। তা থেকে রোগীর সেপটিসেমিক শক হতে পারে।
(০২). পুড়ে যাওয়া স্থানে ধনুষ্টংকারের জীবানুর সংক্রমন হতে পারে, তাই
রোগীর মৃত্যু ও হতে পারে।
পরবর্তী
বা রিমোট জটিলতা বা বিপদসমুহ
(০১). শরীরের পুড়ে যাওয়া অংগের বা অংশের
বিকৃতি এবং তদ্বেতু কার্য্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে।
(০২)
পোড়া অংশে বিকৃত মোটা চর্ম আবরনী (Keloid)
যা খুব
ব্যাথা যুক্ত হতে পারে। (০৩) এরকম বিকৃত মোটা চর্ম আবরনী (Keloid) শরীরের সংকোচন প্রসারন শীল অংশে
হয় তবে সে জায়গায় অনেক
সময় Marjolin
Ulcer নামে ক্যান্সার জাতীয় রোগাবস্থার সৃষ্টি হয়।
মনে
রাখতে হবেঃপোড়া যাওয়ার পরে -> প্রথম ৪৮ ঘন্টা খুবই গূরৃত্বপূর্ণ
পোড়া- রোগীর ব্যবস্থাপনার
পদক্ষেপগুলোর চেকলিষ্ট
C শ্বাসপথ ও শ্বাসকাজ প্রত্যক্ষ করতে
হবে প্রয়োজনিয় ক্ষেত্রে অক্সিজেন দিতে হবে
C পোড়ার পরিমাণ নির্ধারন করতে হবে
C আইভি চ্যানেল ফিট করতে হবে ও আইভি
ফ্লুইড শুরু করতে হবে।
C ব্যাথা নাশক দিতে হবে।
C কেথেটার দিতে হবে প্রযোজ্য ক্ষেএে
C রোগীর সামগ্রিক অবসহা মূল্যায়ন করতে
হবে।
কিভাবে পোড়ার পরিমাণ নির্ধারন করতে হবে
’’রুল অব
নাইন ’’ অনুসরন করে যথাযতভাবে
শরীরের পোড়া অংশ বা অংশ সমুহের পরিমান নির্ধারনাকরতে হবে
প্রতি হাতের সামনের অংশ = ৯, দুহাতে
৯ X ২ = ১৮%
প্রতি হাতের পেছনের অংশ = ৯, দুহাতে
৯ X ২ = ১৮%
প্রতি পায়ের সামনের অংশ = ৯, দপায়ে
৯ X ২ = ১৮%
প্রতি পায়ের পেছনের অংশ = ৯, দুপায়ে
৯ X ২ = ১৮%
দেহের সামনের অংশ = ৯,
৯ X ১ = ৯%
দেহের পেছনের অংশ = ৯,
৯ X ১ = ৯%
মুখ ও
মাথা = ৯,
৯ X ১
= ৯%
যৌনাং&গ ও মলদ্বার ছাড়া
মোট ৯ ঢ ১১ = ৯৯%
যৌনাং&গ
ও মলদ্বার =১ ১%
সর্বমোট ১০০%
অংক
কষা যাক:-
যদি
একজনের পেট থেকে পুরো ২ পায়ের সামনে অংশ পূড়ে যায় তবে হবে
তার
পোড়ার পরিমান হবে
=(পায়ের
সামনে) ৯ X ২ (দই পায়ের) = ১৮+ ৯/২ (শরীরের সামনের অর্ধেক)=২২.৫%
কি
পরিমাণ ফ্লুইড (সিসি) = (৪ X শরীরে ওজন (কেজি) X শরীরের পোড়া অংশের % পরিমান
(সিসি))
অংক
কষা যাক:-
যদি ৫০ কেজী ওজনের একজনের পেট থেকে পুরো ২
পায়ের সামনে অংশ পূড়ে যায় তবে হবে
তার পোড়ার পরিমান
হবে= (৯ X ২ = ১৮+ ৯/২=)২২.৫%
তাকে ফ্লুইড দিতে
হবে = ৪ X ৫০ X ২২.৫ = ৪৫০০ সিসি
কি ধরণের Fluid
সোডিয়াম আছে এরকম যেকোন Fluid. যেমন- হার্টমেনস সল্যূসান। ৫% ডি এন
এস,
একোয়া কোন ভাবে নয়
কিভাবে দিতে হবে
ফমূলা অনুযায়ী নির্ধারিত ফ্লুইড
-এর
১/২ অংশ ১ম - ৮ ঘন্টায় (পোড়ার সময়
হতে)
১/৪
অংশ ২য় - পরবর্তি ৮ ঘন্টায়
১/৪
অংশ ৩য় - পরবর্তি ৮ ঘন্টায়
২য় দিন- ৫% DNS + Reomacrodex ০.৫ml/kg
কি ব্যাথা-নাশক কিভাবে দিতে হবে
ইন্জ মরফিন
০.১-০.২ মিগ্রা/কেজি-আইভি
পাওয়া না গেলে
ইন্জ কিটোরোলাক অথবা
ইন্জ ট্রামাডোল হাইড্রোক্লোরাইড
পোড়া-ক্ষত জায়গার যত্নু
সাবান/এন্টিস্যাপটিক- দিয়ে পরিষ্কার করে
১% সিলভার সালফাডাইজিন মলমের
প্রলেপ দিতে হবে,
মাছি বা অন্য ময়লা থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
এন্টিবায়োটিক
- এমপিসিলিন/ ক্লোক্সসিলিন/জেন্টামাইসিন
ধনুষ্টংকার প্রতিরোধের জন্য
C Depot penicillin (benzathene
Penicillin)
C ইন্জ T.T
এবং TIG
কখন রেফার করা দরকার
C শরীরের ২০% এর বেশী পোড়া গেলে
C ১০ বছরের ছোট এবং > ৫০ বছরের বেশী
লোকের ১০% এর বেশী পোড়া গেলে
C ১বছরের ছোট শিশু ৫% এর বেশী পোড়া
গেলে শিশু
C মাথা/ মুখ/ গলা/ পেরিনিয়াম পোড়া
গেলে
C শরীরের চারদিকে পোড়া গেলে
C ইলেকট্রিকের পোড়া বা শক
করা
No comments:
Post a Comment