রোগী উত্তাপিত উপসর্গ গুলো যেভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
ক্লান্তি বা অবসন্নতা (Tiredness)
F প্রত্যেকেই কমবেশী ক্লান্তি বা অবসন্নতা অনুভব করেই
F যেহেতু ঘুমকমতি সহ শারিরীক ও মানসিক পরিশ্রমের এটা একটা স্বাভাবিক পরিনতি।
F রোগজনিত ক্লান্তি ও স্বাভাবিক ক্লান্তিকে আলাদা বুঝা এবং বিশ্লেষন করা চিকিৎসকের উচিৎ।
F দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি একটি খুবই সাধারন উপসর্গ।
চেম্বারের ২৫ শতাংশ রোগী এ উপসর্গটির অভিযোগ জানাইয়া থাকে।
কোন কোন রোগী সারাদিন ক্লান্ত থাকার কথা বললেও
তাদের কোন অক্ষমতা বা দৈনন্দিন কাজের কোন পরিবর্তন প্রতিভাত হয় না।
ব্যায়াম সহনিয়তার সীমাবদ্ধতা বা কোন অংগের দুর্বলতা বোধ করাকে
প্রান্তিক উৎসারিত ক্লান্তি আবার
কেন্দ্রীয় ক্লান্তি হচ্ছে
’’মনোবল এবং স্পৃহার’’ অভাবে নিজেকে শক্তিহীন মনে করাকে।
দীর্ঘস্থায়ী অবসন্নতা
F গুরুত্বপূর্ণ মানসিক রোগগ্রস্থতা নির্দেশ করে আবার
F তা রোগগ্রস্থ বা পীড়িত জীবনের উপসর্গ ও হতে পারে।
পাশাপাশি ইহা নিচের রোগগুলোতে মুল উপসর্গ (Symptom) ও হতে পারে।
যেমন
Ê রক্তাল্পতা
Ê ’’ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়’’ এরুপ অসুস্থতা
Ê থায়রয়েড গ্রন্থির রোগ
Ê হার্ট ফেইলিউর
Ê কানেকটিব টিশুর রোগ
Ê সংক্রমন জাতীয় রোগ
বিশ্রামেও ক্লান্তি অনুভুত হলে
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর অবশ্যই জেনে নিতে হবে
Ê কিভাবে শুরু হয়েছে? হঠাৎ করে, আস্তে আস্তে, দীর্ঘকাল স্থায়ী
Ê দিনভেদে ক্লান্তির মাত্রা কতটুকু তারতম্য হয়?
Ê কান্তিহেতু সামাজিক ক্ষতির বা অক্ষমতার মাত্রা কতটুকু?
Ê সহযোগী অন্যকোন মানসিক উপসর্গ আছে কিনা? থাকলে বিস্তৃত
Ê অতীত কোন রোগ আছে কিনা বা ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস আছে কিনা।
পরিশ্রমকালীন ক্লান্তি অনুভুত হলে
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর অবশ্যই জেনেনিতে হবে
Ê রক্তাল্পতা আছে কিনা?
Ê থায়রয়েড গ্রন্থির রোগ আছে কিনা?
Ê হার্ট ফেইলিউর আছে কিনা?
Ê শ্বাস যন্ত্রের রোগ আছে কিনা?
Ê সংক্রমন জাতীয় রোগ কিনা?
ক্লান্তি বোধের সাথে সম্পর্ক যুক্ত বিবেচ্য মানসিক রোগের দিক সমুহ:-
Ê ওজন না কমা, জ্বর না থাকা, কোন তন্ত্রীয় অসুস্থতা না থাকা
Ê পুর্বেও এরুপ ক্লান্তি বোধের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহনের ইতিহাস
Ê হঠাৎ করে বেশী বেশী শ্বাস নেয়ার ইতিহাস
অবসন্নতা বা ক্লান্তিবোধের কারন প্রায়শঃ অজ্ঞাত থাকে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষার উদ্দেশ্য অন্যান্য কারন আছে কিনা তা নিশ্চিৎ হওয়া। এভাবে অবসন্নতা বা ক্লান্তি উপসর্গের জন্য দায়ী শারীরিক, মানসিক(আবেগ সম্পৃক্ত) এবং পরিবেশগত কারনগৃলো চিহ্নিত করে রোগীকে বুদ্ধিগম্য ও আচরনগত পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যবস্থাপনা দেয়ার সহায়তা করা যায়।
অবসন্নতা বা ক্লান্তিবোধ উপসর্গের জন্য মুল বিবেচ্য বিষয় সমূহ
ঘুম কম হলে এবং দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের স্বাভবিক প্রভাবে অবসন্নতা বা ক্লান্তিবোধ উপসর্গ দেথা দিতে পারে,
দীর্ঘস্থায়ী অবসন্নতা বা ক্লান্তিবোধ উপসর্গ প্রায়শঃ দৈহিকের ছেয়ে মানসিক কারনেই হতে পারে। কারন অজ্ঞাত থাকতে পারে তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে অন্য কারন গুলো বাদ দিতে হবে
No comments:
Post a Comment