প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ

  • My Observations
  • রোগসমুহ

আঘাৎ ও ক্ষত যুক্ত রোগীর তাৎক্ষনিক চিকিৎসা

আঘাৎ ও ক্ষত যুক্ত রোগীর তাৎক্ষনিক চিকিৎসায়

আঘাৎ ও ক্ষত যুক্ত রোগীর তাৎক্ষনিক চিকিৎসায় বিবেচ্য উদ্দেশ্য সমূহ
        C শ্বাসপথ ও শ্বাস-প্রশ্বাস প্রত্যক্ষ করা এবং শ্বাস কাজ নিশ্চিৎ  করা,
        C ব্যাথা কমানো,
        C রক্তপাত বন্ধ করা,
        C রক্তক্ষরণ হেতু জটিলতার চিকিৎসা শুুরু করা,
        C ক্ষত-এর জীবাণু আক্রান্ত হওয়া রোধ করা,
        C ক্ষত থেকে অংগ বিকৃতি হওয়া রোধ করা,
        C প্রয়োজনীয় ক্ষেএে রোগীকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য রেফার করা,
@শ্বাসপথ ও শ্বাস-প্রশ্বাস প্রত্যক্ষ করা এবং শ্বাস কাজ নিশ্চিৎ  করা
        Üকি কি দেখতে হবে?
                Äনাক মুখ গলা এবং বুকে পিঠে কোন আঘাত আছে কিনা
                Äশ্বাসপথের কোন অংশে রক্ত, বিচ্ছিন্ন শরীরাংশ যেমন মাংস, অস্থি বা দাঁত বা
                      অন্য কোন ভড়ৎবরমহ নড়ফু আছে কিনা
                Äশ্বাষ-প্রশ্বাসে কোন শব্দ হচ্ছে কিনা
        Üতাৎক্ষনিক কি কি করতে হবে
                Äগজ বা হাতে বা সাকার এর সাহায্যে শ্বাস পথ পরিস্কার করিতে হইবে,
                Äরোগীকে এমন অবস্থায়/ পজিশানে রাখতে হবে যেন শ্বাসপথের কোন অংশে বায়ু                           চলাচল বাধাগ্রস্থ না হয়,
                Äপ্রযোজনীয় ক্ষেত্রে অক্সিজেন লাগায়ে দিতে হবে
@ব্যাথা কমানোর জন্য কি কি করতে হবে
        Üরোগীকে এবং আঘাৎ বা জখম যুক্ত অঙ্গ স্থিরভাবে রোগীকে রাখুন, ন্যুনতম নড়াচড়া।
        Üইন্জ বা সাফোজিটরী আকারে নিচের যে কোন একটা ওষুধ প্রয়োগ করুন।
                   Ä ডিক্লোকিনেক
                   Ä ট্রামাডোল
                   Ä কিটোরালক দিবেন
@রক্তক্ষরন বা রক্ত-পাত বন্ধ করা
        Üদেখুন এবং নির্নয় করুন
                öক্ষতের সংখ্য
                öপ্রত্যেক ক্ষতের
                        Äদৈর্ঘ্য, প্রস্ত ও গভিরতা এবং ধরন,
                        Äঅবস্থান, মানে শরীরের কোথায় বা কোন অংশে,
                        Äজখমপ্রাপ্ত শরীরের উপাদান সমূহ, যেমন;
                                         চাম্ড়া, মাংসপেশী, টেনডন, রক্ত নালী, অস্থি, জয়েন্ট বা গ্রন্থি?
                        Äরক্তনালি জখম প্রাপ্ত কিনা এবং রক্ত ক্ষরনের অবস্থা বা পরিমান,
                        Äএকের অধিক জখম থাকলে কোন জখম কি রকম গুরুত্ব বহন করে।
                        Äকোন জখম আগে চিকিৎসা দিতে হবে তা।
Üক্ষরন-যুক্ত যে কোন ক্ষতে চাপযুক্ত বেন্ডেজ লাগায়ে আপাততঃ রক্ত-ক্ষরন প্রতিরোধ করতে হবে
Ü পরিস্কার বা ড্রেসিং উপযোগী করা
                Ä০.৯% নরম্যাল স্যালাইন দিয়ে প্রত্যেকটা ক্ষত ভালোভাবে পরিক্ষার কর্তে হবে,
                Äকোন ক্ষতে বা জায়গায়  কোন ময়লা, ছেড়া চামড়া বা মাংসপেশীর টুকরা বা জমাট রক্ত যেন না থাকে (থেত্লানো জখমের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিষয়টির দিকে সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে) থাকলে তা কেটে নিয়ে নিতে হবে।
                Äক্ষতের চার পাশের অক্ষত জায়গা কটনে ক্লোরহেকি্জডিন লাগিয়ে পরিস্কার করতে হবে সতর্কতার সাথে।
                Ä পরে হাতে গ্লাবস পওে নিয়ে জীবানু মুক্ত গজ দিয়ে ক্ষত ও আশে পাশে মুছে শুকনো কওে নিতে হাবে্
                Ä রক্তপাতের স্থান, পারলে রক্তপাতের রক্তনালী নির্ধারন করে নিতে হবে। ফরষেফ দিয়ে ধরে বন্ধ রাখতে হবে, এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ষ্টিচ দিয়ে দিতে হবে।

Üপ্রত্যেকটা ক্ষতকে
        Äসেলাই সম্ভব হলে, চামড়া, মাংসপেশী আলাদা ভাবে সেলাই করে দিয়ে বেন্ডেজ দিয়ে দিতে হবে, সেলাই অবশ্যই তা করতে হবে এলাকার নার্ভ ও রক্তনালীকে আঘাৎ না করে।
        Äসম্ভব নাহলে চাম্ড়া যদ্দুর সম্ভব পাশাপাশি এনে গজ দিয়ে চাপযুক্ত বেন্ডেজ দিয়ে দিতে হবে,

@রক্তক্ষরণ হেতু জটিলতার চিকিৎসা শুুরু করা
        Ü পানিস্বল্পতার পরিমান নির্ধারন করে আইভি ফ্লুইড দেয়া শুরু করে দিতে হবে,
                Ä ৫% ডেক্সট্রোজ স্যালাইন
                Ä ০.৯% নরম্যাল স্যালাইন

তাঃক্ষনিক কি ব্যাথা-নাশক কিভাবে দিতে হবে
পাওয়া গেলে
                ইন্জ কিটোরোলাক অথবা
                ইন্জ ট্রামাডোল হাইড্রোক্লোরাইড,
                ইন্জ ডিক্লোফিনেক সোডিয়াম.

পাওয়া না গেলে এব অন্য অসুবিধা না থাকলে
                ডিক্লোফিনেক সাফোজিটরি মলদ্বারে ব্যবহার করা যাবে

পরবর্তিতে ব্যাথার জন্যে প্যারাসিটামল (কেফেইন সহ বা ছাড়া) ২০মিগ্রা/কেজি ৮ ঘন্টা পর পর দেয়া যেতে পারে।
                অত্যাধিক ব্যাথার ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এর সাথে ট্রামাডল ৫০ দিনে ২ বার দেয়া্ যেতে পাওে ব্যাখ্যা সাপেক্ষে বা ডিক্লোফিনেক সাফোজিটরি মলদ্বারে ব্যবহার করা যাবে ।&


এন্টিবায়োটিক
-         এমক্সিসিলিন+ক্লোক্সসিলিন ৮ ঘন্টা পরপর
-         ক্ল্যভূলূন্যাটেড এমক্সিসিলিন ৮ ঘন্টা পরপর

ধনুষ্টংকার প্রতিরোধের জন্য                  
        C Depot penicillin (benzathene Penicillin)
        C ইন্জ  TIG.
        C ইন্জ  T.T., পরবর্তি ডোজ (৫ ডোজ সিউিউল) এর ব্যাপারে বলে দিতে হবে।

কখন ত্বরিৎ রেফার করা দরকার
01.   বেশি রক্তক্ষরন হচ্ছে এরুপ জখমের রোগী।
02.  জখমের কারনে শরীরের ভাইটাল কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম যেমন চোখের, নাকের, গলার,বুকের,পেটের এবং মুত্রনালী এবং যৌনাংগের্ জখম।
03.  অপরাধ জনিত কারনে সংঘটিত যেকোন জখমের রোগী
04.   জখমের কারনে হাড্ডি ভাংগা বা জয়েন্ট নষ্ট হলে।
05.   চিকিৎসা সম্ভব মনে নাহলে যে কোন রোগীকে ।

         C শরীরের চারদিকে পোড়া গেলে
        C ইলেকট্রিকের পোড়া বা শক করা

No comments:

Post a Comment