প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ

  • My Observations
  • রোগসমুহ

সাধারন অথচ প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো

সাধারন অথচ প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো নিয়ে কিছূ আলোচনা
কি এবং কোন্ পরীক্ষা
উক্ত পরীক্ষার তাৎপর্য্য কি এবং তা থেকে কি তথ্য জানা ও কি করা যেতে পারে?
TC (total Count),
প্রতি সিসি রক্তে মো্ট শ্বেত কনিকার সংখ্যা
DC(DifferentialCount)
প্রতি ১০০শ্বেত কনিকার মধ্যে বিভিন্নপ্রকারের আপেক্ষিক ংখ্যা
সুতরাং এন্টিবায়োটিক দেয়ার যৌক্তিকতা সহজে যাচাই করা যায়। কারন ভাইরাস জনিত ইনফেকশানে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নাই
 
  @TC (Total Count) স্বাভাবিক মাত্রার সংখ্যা:: ৪০০০-৮০০০/ প্রতি সিসি রক্তে, যেকোন জ্বরের রোগীর ক্ষেত্রে ইহা খুবই অর্থবহ ।    
      সাধারনতঃ ইহা  ভাইরাস জনিত ইনফেকশানে এ কমে যায়;
      [যেমন ফ্লু (ইনফ্লুয়েন্জা), ঠান্ডি (কোল্ড), ডেঙ্গু, ভাইরাল জন্ডিস]
      আবার ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশানে বেড়ে যায়।
      ব্যতিক্রম ব্যাকটেরিয়া জনিত টায়ফয়েড জ্বরে এই সংখ্যা ৪০০০/ প্রতি সিসি এর কম হতে পারে।
     এসংখ্যা ২৫,০০০/ প্রতি সিসি এর বেশী হলে যেমন বেশী গুরুত্বপূর্ণ,তেমনি ২৫০০/ প্রতি সিসি এর কম হলেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ,।ু 
  @DC (Differential Count) (Poly, Lymp, Eosin, Mono, Baso, Others)
       সাধারনতঃ ইহা ভাইরাস জনিত ইনফেকশানে খুসঢ় ৬০% বা এর বেশী হতে পারে আবার ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশানে
       Polymorph বেড়ে যায়| Eosinophil ১০% এর বেশী হলে এলার্জীর ধারনা করা হয়। এক্ষেত্রে ১ডোজ ক্রিমিনাশক দেয়া যায়।
Hb% (হিমোগ্লোবিন): রক্তের উপাদান
  @ Hb% স্বাভাবিক মাত্রার সংখ্যা (মহিলা) ১২ু১৪মস/ফষ (পুরুষ),  আমাদের জনগনের মধ্যে তা ১০-১২মস/ফষ  ধরা যেতে পারে।
   স্বাভাবিক অপেক্ষা কম হলে রক্ত শুন্যতা বা এনেমিয়া আছে বুঝতে হবে। সাধারনত পূষ্টি জনিত কারনে হতে পারে। উচচতর পরামর্শ নেয়ার   জন্য রেফার করা ছাড়াও ক্রিমিনাশক এবং ফলিক এসিড (রক্ত তৈরীর উপাদান) খেতে বলা যেতে পারে।
ESR (Erythrocyte Sedimentation Rate) লোহিত কনিকার তলানী পরার গতি-হার
@ESR স্বাভাবিক মাত্রার উর্ধসংখ্যা (পুরুষ) ১০সস/১ংঃ যৎ) ও (মহিলা) ২০ সস/১ংঃ যৎ। সাধারনতঃ ৫০ সস/১ংঃ যৎ এবং এর বেশী 
খুবই তাৎপর্য্য বহন করে। ইহা প্রদাহ (যেমন রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিস, রিউমেটিক ফিভার ইত্যাদি), দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমন (যেমন যক্ষা রোগ
  ইত্যাদি) ও অন্য যে কোন  ক্ষয় কারী রোগে বেডে যেতে পারে (যেমন ক্যান্সারইিত্যাদি)।
MP(Malaria Parasite)
ম্যালেরিয়া-জ্বর রোগের জীবানু

@Pvt (+ৃ) পাওয়া গেলে  ঔধংড়য়ঁরহব দেয়ার প্রয়োজন নাই, ৩ দিন (১ম দিন=১০মিগ্রা/কেজি, ২য় ও ৩য়দিন=৭.৫ মিগ্রা/কেজি
 দৈনিক ১ডোজ করেক্লোরকুইন দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। বিশেষ বিবেচনায় ১৫মিগ্র//দিন প্রাইমাকুইন ১৪ দিন খেতে বলা যেতে পারে।
 @Pft  (+…) পাওয়া গেলে কমপক্ষে ঔধংড়য়ঁরহব ৫দিন দিয়ে পরে ১ ডোজ ফেন্সিডার দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। তবে রোগীর
 অবস্থানুযায়ী (যখনই মুখে ওষুধ বা খাবার খাওয়ানো ঝুকি পূর্ন মনে হবে) রোগীকে হাসপাতালে রেফার করতে হবে।
Widal Test
টায়ফয়েড জ্বও পরোক্ষ রোগের
  @Widal Test :: জ্বর শুরুর ৭ দিনের ভেতর এই পরীক্ষার কোন যৌক্তিকতা নেয়। ঞঙ এবং ঞঐ ই তাৎপর্য পুর্ন। 
  এগুলো ৮০ এবং এর বেশী হলেই টায়ফয়েড জ্বও সন্দেহ করতে হয়। TO Ges TH বেশী ছাড়া শুধু AH Ges  BH বেশী হলেও
  টায়ফয়েড জ্বর সন্দেহ করার প্রয়োজন নাই।


সাধারন অথচ প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো নিয়ে কিছূ আলোচনা

কি এবং কোন পরীক্ষা
উক্ত পরীক্ষার তাৎপর্য্য কি এবং তা থেকে কি তথ্য জানা যেতে পারে?
Urine RME
প্রশ্রাবের রুটিন পরীক্ষা
  @Urine RME:: পরীক্ষায় Sugar, Albumin,  Pus Cell , RBC এর তথ্য খুবই গুরত্বপুর্ণ।  Sugar ন্যূনতম (+) হলেও
  ডায়বেটিসের সন্দেহ করা  হয়, Albumin (+), Pus Cell 2-4/hpf বা RBC 2-4/hpf বা বেশী হলেই কিডনী-প্রদাহ বা কিডনী- সংক্রমন   অথবা কিডনী-ব্যর্থতা বা বৈকল্য রোগ ধারনা করা হয়। পধষপরঁস ড়ীধষধঃব বেশী দেখলে রোগীকে ঘাবড়িয়ে দেয়ার কারন নাই।
Stool RME
মলের রুটিন পরীক্ষা
  @Stool RME:: ডায়রিয়াতে Stool RME পরীক্ষায় Pus Cell , RBC এর তথ্য খুবই গুরত্বপুর্ণ যেক্ষেত্রেই শুধূ Antibiotic এর   প্রয়োজন হতে পারে। তবে Mucus (++) বা বেশী দেখলেই শুধু Metronidazol দেয়া যেতে পারে।
  ক্রিমির ডিম (Ova of worms/ Helminths)  পাওয়া গেলে ক্রিমি নাশক দেয়া প্রয়োজন হয়
S.Billirubin
ইহা রক্তের একটি বর্জ্য পদার্থ।
  @S.Billirubin :: স্বাভাবিক সংথ্য 0.2 - 1gm/dlঅন্যাৃন্য কারন ছাড়াও লিভার বা যকৃতের প্রদাহ জনিত রোগে রক্তে ইহার পরিমান  রেড়ে যায়, ইহা ১ এর বেশী পাওয়া গেলে  আপাতঃভাবে লিভার বা যকৃতের প্রদাহ জনিত রোগ হয়েছে ধারনা করিতে হয়। তীব্র ক্ষুধা মন্দা ও   বমি বা বমি বমি ভাব হলেই খুব সহসা জন্ডিস বা লিভারের রোগ হয়েছে  কিনা জানার জন্য S.Billirubin পরীক্ষা করার ছেয়ে
@SGPT (স্বাভাবিক সংথ্য ৪২সম) পরীক্ষা করা বেশী অর্থবহ। কারন রক্তে S.Billirubin বাড়ার অনেক আগেই SGPT বেড়ে
   যায় ভাইরাল হেপাটাইটিস হলে।
SGPT ইহা লিভার বা যকৃতের একটি রস জাতীয় পদার্থ।
ECG ইহা হার্টের মাংস পেশীর অবস্থা জানার, ইহার স্পন্দন গতি নির্নয় করার জন্য করাহয়।
  @ECG :: হার্ট এটাক এবং হার্টের স্পন দনের গতি ও প্রকৃতি নির্নয়ের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। বুকের ব্যাথা বা শ্বাসকশ্ট জনিত   উপসর্গ সহ বা ছাড়া যেকোন রোগীর ECG -এর  প্রতিবেদনে কোন অস্বাভাবিকতা পাওয়া গেলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বা   বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ-এর জন্য রেফার করতে হয়।
Ultrasonography কম্পিউটারের মাধ্যমে শরীরের ভেতরের যমত্রগুলোর পরীক্ষা¿
 @Ultrasonography:: শরীরের ভেতরের যমত্রগুলোর যেমন লিভার, পিত্তথলি, কিডনী, জরায়ূু, ডিম্বাশয় ইত্যাদির যে কোন আকৃতিগত  অসুবিধা হলেই তা নির্নয় করা যায়। গর্ভাবস্থায় পেটের বাচচার অবস্থা ও অবস্থান নির্নয় করে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। ইহাছাড়াও  শরীরের ভিতরে যেকোন অংশে  পাথর,টিউমার, সন্দেহ হলেও এ পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
Xray অতিপরিচিত এই পরীক্ষায় অনেক কিছূই নির্নয় করা যায়
 @Xray এর সাহায্যে অনেক কিছূই নির্নয় করা যায়। প্রধানত ইড়হব এর রোগ যেমন ভাঙ্গা, প্রদাহ, জয়েন্টের অবস্থা, ফুসফুস (নিউমোনিয়া   টিবি রোগ)ও হার্টের রোগ, পিত্তথলি, পিত্তনালী,  কিডনী বা প্রশ্রাবের থলেতে বা শরীরে অন্য কোথাও পাথর থাকলে তার অবস্থান ও   আকৃতি ও  প্রকৃতি নির্নয় করা যায়।

শুধু রোগ ও রোগের অবস্থা নির্নয় নয়, নিরাপদ ওষুধ প্রয়োগ নিশ্চিৎ করার জন্য ওষুধ প্রয়োগের পুর্বে হার্ট, লিভার ও কিডনীর কার্যক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য ও মাঝে মধ্যে উপরোক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রয়োজন হতে পারে। 


2 comments:

  1. রক্তে শ্বেত কনিকার বেশি থাকলে গর্ভাবস্থায় কি হয়

    ReplyDelete
  2. রক্তে শ্বেত কনিকার বেশি থাকলে গর্ভাবস্থায় কি হয়

    ReplyDelete