ভাইরাস সংক্রমন জনিত জ্বর: হাম
ভাইরাসের নাম: প্যারামাইক্সি ভাইরাস
কাদের হয়: যে কোন বয়সে হতে পারে, তবে হামের
টিকা না পাওয়া শিশুদের
মধ্যে এই রোগের হার ১০০% হতে পারে।
কখন বেশী হয়: বছরের যে কোন
সময় হতে পারে, যে জনগোষ্টিতে হাম-টিকা নেয়ার হার
জনগোষ্টির ৮০% এর কম সেখানে এপ্রিলের মাঝামাঝি
থেকে হাম ব্যাপক
আকারে
দেখা দিতে পারে এবং জুনের শেষ পর্যন্ত ছড়াতে ও আক্রান্ত হতে
থাকে।
কিভাবে ছড়ায়: নিশ্বাসের মাধ্যমে (ড্রপলেট)
বায়ুবাহিত হয়ে ছড়ায়।
হামের বৈশিষ্ট্য সমূহ
@ আক্রান্ত থেকে অসুস্থতা শুরু
পর্যন্ত ১০-১৪ দিন সময় লাগে। (ইনকিউবেশান পিরিয়ড).
@ হঠাৎ করে *প্রচন্ড মাথাব্যাথা সহ তীব্র জ্বর ১০৪০-১০৫০,
* নাকে-চোখে পানি ঝরা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং * গলাফাটা কাশী
* কারো কারো খীচুনী সহ এই রোগ শুরু হয়।
* শুরুতেই মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরনীতে সাদা
স্পটের মতো দেখা যায় যার চারপাশে লাল বেষ্টনী থাকে (কপ্লিক স্পট) যা এ’রোগের একটা
নিদ্দিষ্ট বৈশিষ্ট।

হামের রোগীর মুখের ভেতরের কপ্লিকস্পট

হামের রোগীর শরীরের লাল দানা
*এর ২-৩
দিন পরে শরীরে লাল দানা দেখা দেয়।
*এই দানা শুরুর ১-২ দিনের মধ্যে পুরো
শরীরে দেখাদেয়.
* ৫-৬ দিনে এই দানা চলে যায় কিন্তু
চামড়ার উপরের আবরন খসে যাওয়াতে একটা ধুসর
খসখসে আস্তরন সৃষ্টি করে।
@ কিছু রোগীর পুরো শরীরে লিম্প
গ্ল্যান্ড গ্রুলো ফুলে যেতে পারে
হাম রোগের জটিলতা সমুহ
Ø
অপূষ্টি সৃষ্টি হতে পারে,
Ø
ডায়রিয়া হতে পারে,
Ø
নিউমোনিয়া বা অংশত এবং পুরো ফুসফুসের জীবানু সংক্রমন ও প্রদাহ হতে
পারে,
Ø
কানের সংক্রমন ও প্রদাহ, কানে পূজঁ ও কান ফেটে যেতে পারে,
Ø
ব্রেইনের ও ইহার ঝিল্লির সংক্রমন ও প্রদাহ হতে পারে ।
Ø
তবে পুর্ব থেকেই পূষ্টিহীন এবং ভিটামিন-স্বল্প শিশু এ রোগে আক্রান্ত
হলে মৃত্যূর ঝুকি থেকে যায়।
হাম আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা
জ্বরের জন্য:-
@
স্বাভাবিক ঠান্ডাপানি-ভেজানো কাপড়ে পুরো শরীর মুছতে হবে, বারবার মাথা ধোয়া
অপ্রয়োজনীয়।
@বাতাস
বরার জন্য জোরে ফ্যান চালিয়ে দিতে হবে, পাখা দিয়ে বাতাস করতে হবে,
@ঘন ঘন
বেশী পানি/অন্য কোন ঠান্ডা পানীয়
পান করতে রোগীকে পরামর্শ দিতে হবে।
@জ্বর
কমানোর জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে দিতে হবে,
*প্যারাসিটামল খাওয়ানোও যায় এবং মলদ্বারেও
সাপোজিটরি হিসাবে প্রয়োগ করা যায়।
ডোজ:- প্রতি কেজী শরীরের ওজনের জন্য
১৫ মিগ্রা প্রতিবার, অবশ্যই চার ঘন্টার
মধ্যে পুনঃ প্রয়োগ করা যাবে না।
১ বড়ি প্যারাসিটামলে থাকে=৫০০মিগ্রা
এবং
১ চামুচে=১২০ মিগ্রা
উদাহরন: ২ বছরের ১টা বাচ্চার (ওজন হতে পারে ১২ কেজী)
জন্য প্রয়োজন
১২*১৫=১৮০ মিগ্রাঃ অর্থাৎ দেড় চামুচ
হবে।
কিন্তু
Nএসপিরিন
দেয়া কখনো উচিৎ না এবং
Nঅন্য
কোন ব্যাথানাশক (NSAID) দেয়া ঠিক নয়।
নাকের পানির জন্য:-
লবন মেশানো (Normal saline) পানি
দিয়ে নাকের ভেতরে পরিস্কার করার জন্য ড্রপ আকারে দিতে হবে দিনে ৩/৪বার, অপরিস্কার
কাপড়ে নাক মুছানো যাবে না। পারত পক্ষে এন্টিহিষ্টামিন জাতীয় কোন ঔষুধ দেয়া থেকে
বিরত থাকা উচিৎ।
কাশীর জন্য
যেহেতু এই কাশী
প্রথম দিকে গলা (pharynx এবং larynx) থেকে হয় সেজন্য কুসুম গরম
জলের সাথে লেবুর রস
দিয়ে বার বার খেতে দিতে হবে। শেষের দিকে শ্বাসনালী প্রসারক যেমন সলবুটামল পারত পক্ষে ইনহেলার দিয়ে ব্যবহারের
পরামর্শ দিতে হবে।
খীচুনী হলে বা খীচুনী প্রবন রোগীকে :=
ডায়াজেপাম
০.১৫মিগ্রা/কেজী করে দিনে ৩ বার ৫-৭দিন দিতে হবে। কিন্তু খীচুনি চলাকালীন সময়ে
ডায়াজেপাম ইনজেকশানের মাধ্যমে মলদ্বার দিয়ে অথবা খুবই সতর্কতার সাথে আইভি দেয়া
যেতে পারে. আইএম বা মাংসপেশততে নয়।
পুষ্টি রক্ষা ও পুষ্টি হীনতা প্রতিরোধের জন্য:=
অপ্রয়োজনীয় পুষ্টিস্বল্প খাবার (যেমন
সাগু, বার্লি, সুজি) না দিয়ে রোগীকে আমিষ জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ
এবং বিভিন্ন তাজা ফল বা ফলের রস খেতে দিতে হবে। এবং অবশ্যই ভিটামিন ’’এ’’ ২০০,০০০
ইউনিট খেতে দিতে হবে।
ডায়রিয়া বা ঘনঘন পাতলা পায়খানা হলে:-
–পানি স্বল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর যে পরিমান পানি পায়খানার সাথে নির্গত হয়ে যায়
সেই পরিমান খাওয়ার স্যালাইন পান করাইতে হবে।
–স্বাভাবিক খাবার ছাড়াও তরল খাবার বেশী পরিমানে খেতে দিতে হবে।
–বুকের দুধ পান করানো চালিয়ে যেতে হবে এবং ঘন ঘন খাওয়াতে হবে।
–পানি স্বল্পতা বেশী হলে পরিমান অনুযায়ী প্রয়োজনে আইভি স্যালাইন দিতে
হবে। –এক্ষেত্রে
মেট্রোনিডাজল দেয়া যুক্তিসংগত নয়। তবে আন্ত্রিক জীবানুর উপর কার্য্যকর
এন্টিবায়োটিক
যেমন নেলিডিক্সিক এসিড, কোট্রাইমোক্সাজল, পিভমিসিলিনাম,
সিপ্রোফ্লক্সাসিন দেয়া যেতে পারে।
হামে নিউমোনিয়া
@নিউমোনিয়া কি এবং হামে কেন
নিউমোনিয়া?
ফুসফুসের জীবানু
সংক্রমন এবং প্রদাহ জনিত কারনে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকেই নিউমোনিয়া বলে।
নিম্ন বর্ণিত কারনে হাম হলে নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
হামে শ্বাসতন্ত্রের
সকল অংশ থেকে নিঃসরন হতে থাকে। সে নিঃসরন বাইরের জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হলেই
নিউমোনিয়ার সৃষ্টি হয়। ইহাছাড়াও হাম হলে রোগ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়,
সেহেতু শরীরের অভ্যন্তরের নিষ্ক্রিয় জীবানু গুলো পুনঃ ক্রীয়াশীল হয়ে উঠে
শ্বাসতন্ত্র তথা ফুসফুসকে সহজে সংক্রমন করে নিউমোনিয়ার সৃষ্টি করে। হাম ছাড়াও
অন্যান্য অনেক কারনে শরীরে নিউমোনিয়া হতে পারে।
হামে নিউমোনিয়া না হওয়ার
জন্য কি করা যেতে পারে?
*প্রথমত শ্বাস পথের নিঃসরন যাতে বাইরের জীবানু দ্বারা আক্রান্ত না হয়
সে জন্য উপরে বর্ণিত
ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে।
*শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য পূষ্ঠি রক্ষার ব্যবস্থা
নিতে হবে।
*কাশী দিয়ে নিঃসরন বা কফ বের করে দেয়ার জন্য রোগীকে উৎসাহিত করতে
হবে।
*আক্রান্ত রোগীকে পর্য্যাপ্ত আলো বাতাসের মধ্যে রাখতে হবে।
*ফুটানো কুসুম গরম জলে পুরো শরীর প্রতিদিন মুছে দিতে হবে।
*হাম হলে প্রাথমিক দিকে রোগীকে একটি উপযুক্ত (প্রোফাইলেক্টিক)
এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে
ক্লেভ্যূলিনিক এসিড যুক্ত এমোক্রি্সিলিন ২৫মিগ্রা/কেজী ৮ ঘন্টা অন্তর কমের
মধ্যে
৭ দিন খেতে দিলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
হামে নিউমোনিয়া হলে কিভাবে
বুঝতে হবে?
* কাশি বেড়ে যাবে এবং কাশির সাথে
সাথে বমি হতে পারে বারবার।
* ৪ দিন পরও রোগীর জ্বর থেকে যাবে।
এবং উচ্চমাত্রার জ্বর থেকে যেতে পারে।
* শ্রাস নেওয়ার সময় বুক মারাত্বকভাবে
ভেতরের দিকে চেপে যায় বা
* দ্রুতে শ্বাসের গতি (মিনিটে ৪০ বার এর
বেশী)।
* শ্বাসে শব্দ হতে পারে এবং বুকে
স্টেথোস্কোপ দিয়ে শুনলে ’’ৎরেরে ৎরেরে’’ শব্দ
শোনা যাবে (creps).
* এগুলো ছাড়াও রোগীর খিচুনি ও হতে পারে।
হাম হয়েছিলো এরকম
রোগীর উপরের উপসর্গ ও লক্ষনগুলো পরিলক্ষিতহলেই রোগীর নিউমোনিয়া হয়েছে বুঝতে হবে।
হামে নিউমোনিয়া হলে কি করতে
হবে।
–উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক ইন্জেকশানের
মাধ্যমে দেয়া ছাড়াও
–রোগীকে নাকের ভেতর দিয়ে টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো (শ্বাস মিনিটে ৫০এর
বেশী হলে)
–প্রয়োজনিয় ক্ষেত্রে অক্সিজেন দেয়ার
জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন যথাযত চিকিৎসা না হলে হাম-উত্তর নিউমোনিয়ায়
১০০% মৃত্যূ ঝৃুকি থাকে।
ইন্জেকশানের মাধ্যমে কি এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে?
যেহেতু হামজনিত
নিউমোনিয়ায় গ্রাম পজিটিব এবং গ্রাম নেগেটিব দুধরনের জীবানূরই উপস্থিতি থাকে সেহেতু
এমন এন্টিবায়োটিক দেয়া প্রয়োজন যাতে এই দুই ধরনের জীবানুই যাতে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
এই কারন বিবেচনায় রেখে সাধারনত নিম্নোক্ত ২ টি এন্টিবায়োটিক যুগপৎ
দেয়া যৌক্তিক।
০১. ক্লেভ্যূলিনিক এসিড যুক্ত এমোক্রি্সিলিন (কো-এমোক্সাক্লেব) (গ্রাম পজিটিব জীবানুর জন্য)
২৫মিগ্রা/কেজী
৮ ঘন্টা অন্তর---------৭-১০দিন
০২. জেন্টামাইসিন : (গ্রাম নেগেটিব জীবানুর জন্য)
২মিগ্রা/কেজী
৮ ঘন্টা অন্তর ---------৭-১০দিন
আবার অনেকে ২য় ও ৩য় প্রজম্মের সেফালোস্ফোরিন যেমন
সেফুরেক্সিম ও
সেফিক্সিম বা সেফিমিন, দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেহেতু এগূলো খুবই ব্যয়বহুল
সেহেতু অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তা চালানো সম্ভবপর হয় না।
অন্যান্য আর কি কি করতে হবে
জীবানু সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন ছাড়াও
– শ্বাস নালী প্রসারক
(থিওফাইলিন বা সলবুটামল) দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
–নাসারন্দ্র পরিস্কার রাখার
জন্য নাকে নরম্যাল স্যালাইনের ড্রপ দেয়া প্রয়োজন
– শ্বাসপথ প্রসারিত রাখার জন্য
সলবুটামল নেবুলাইজার, ইনহেলার দিয়ে প্রয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে। নেবুলাইজার
ইনহেলার দিয়ে, না প্রয়োগ করতে পারলে মুখে খেতে দেয়া যেতে পারে।
কানের সংক্রমন ও প্রদাহ, কানে পূজঁ হওয়া ও কান ফেটে যাওয়া,
কানের সংক্রমন ও প্রদাহ হয়েছে কিভাবে বুঝা যাবে?
!হামের রোগী
!বিরামহীন কান্না করলে, কানের প্রতি আং&গুল নির্দেশ করলে এবং
!এই কান্নার জন্য অন্য কোন কারন পাওয়া না গেলে বা
!কানথেকে পানি বা পূজঁ পরলে
কানের সংক্রমন ও প্রদাহ হয়েছে কিভাবে
বুঝতে হবে।
কানের সংক্রমন ও প্রদাহ হয়েছে বুঝতে পারলে কি করতে হবে?
হামের রোগীর কানের প্রদাহ হলে কানের ডাক্তারের নিকট রেফার করা
প্রয়োজন।
@তবে এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পল্লী অঞ্চলের ডাক্তারগন বিবেচনা
করিতে পারেন।
০০. কানের প্রদাহ থেকে যেকোন সময়
ব্রেইনের ঝিল্লীর প্রদাহ হতে পারে।
০১. কানের ভেতরে যথাযত পরীক্ষা ছাড়া কানে কোন ড্রপ
বা তেল পোড়া দেয়ার পরামর্শ দেয়া যৌক্তিক না। বা তেলপোড়া দেয়া থেকে রোগীর লোককে
বিরত রাখতে হবে। এবং অনুরুপ ভাবে কোন পানি যেন কানে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে
রোগী/রোগীর যত্নকারীকে সচেতন করতে হবে।
০২. কান ও নাকের সংযোগ রক্ষাকারী টিউবটি (Eustachian
Tube) সচল রাখার জন্য নাকে নরম্যাল
স্যালাইন বা ন্যাজাল ডিকনে্জষ্ট্যান্ট ড্রপ দিতে হবে। নাক পরিস্কার করে দিতে হবে।
০৩. কার্য্যকর একটা এন্টিবায়োটিক
দিতে হবে। রোগী বমি করলে ইন্জেকশান আকারে এন্টিবায়োটিক শুরু করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে কো-এমোক্সাক্লেভ
২৫মিগ্রা/কেজি ৮ ঘন্টা অন্তর দিনে ৩ বার বা নুতন প্রজম্মের মেক্রোলাইড
ইজিত্রোমাইসিন ১০মিগ্রা/কেজি দিনে ১ বার দেয়া ব্যাপারে বেশী সুপারিশ রহিয়াছে
যেখানে কালচার সেন্সিটিভিটি টেষ্ট করার সুযোগ নাই।
হাম প্রতিরোধের উপায়।
মাতৃগর্ভ হতে
প্রাপ্ত হাম-প্রতিষেধক উপাদান (এন্টি বডি) শিশুকে তার ৬মাস বয়স পর্যন্ত হাম
প্রতিরোধ করিয়া থাকে। ৬মাসের পর যথাশিঘ্র ১ ডোজ হামের টিকা দেয়া হলে পুরো জীবন হাম
প্রতিরোধ হয়। আমাদের দেশে ইপিআই কর্মসূচির অধীনে এই টিকা ১বছরের কম সকল শিশুকে
৯মাস বয়স হলেই দেয়া হয়।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর অধীনে বিভিন্ন টিকা দেয়ার
সময়সূচী
কোন বয়সে
|
০কোন কোন টিকা
|
কোন রোগ প্রতিরোধের জন্য
|
১.৫ মাস
|
বিসিজি, ডিপিটি ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
যক্ষা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার,
হুপিং কাশি ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
২.৫ মাস
|
ডিপিটি ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিং কাশি ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
৩.৫ মাস
|
ডিপিটি ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিং কাশি
ও পোলিও
হেপাটাইটিস-বি
|
৯.০ মাস
|
ঘাম ও পোলিও
|
হাম ও পোলিও
|
ইহা ছাড়াও ১৫-৪৯ বছর বয়সের সকল
মহিলাকে নিম্নোক্ত ভাবে ধনুষ্টংকার (টিটি)
এর টিকা দেয়া হয়ে থাকে। (৫ডোজ সিডিউল টিটি টিকা)
১ম ডোজ ->১মাস পর-২য় ডোজ ->৬মাস পর-৩য় ডোজ-১বছর পর-৪য় ডোজ-১বছর পর-৫ম ডোজ
|
একটা এলাকায় মোট
জনসংখ্যার কমের মধ্যে ৮৫% যদি হামের টিকা না পেয়ে থাকে তবে সে এলাকায় টিকাপ্রাপ্ত শিশুর ও পুনরায় হাম হতে
পারে। সুতরাং একটা বিষয় প্রত্যেক শিশুর অভিবাবকের মনে রাখা উচিৎ নিজের শিশুকে টিকা
দেয়া ছাড়াও প্রতিবেশী প্রত্যেক শিশুর হামের টিকা পাওয়া প্রয়োজন যদি নিজের শিশুকে
হামের ঝুকি মুক্ত রাখার জন্য।
No comments:
Post a Comment